• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

সিংগাইরে মুরগী,গরুর খামার স্থাপন করায় দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২১  

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে আবসিক এলাকায় মুরগী ও গরুর খামার স্থাপন করায় দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। অনেকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে বসবাস করছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বার বার ফার্মের মালিকদের দ্বারস্থ হয়ে কোন ফল পাননি। ভুক্তভোগী গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে পরিবেশ দূষণ ও জনদুর্ভোগ হতে রেহাই পেতে গত ২০ জানুয়ারি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ওই গ্রামের কানু মিয়ার পুত্র হাজী সুরুজ মিয়া ও রেজাউল হকের পুত্র আনিসুর রহমান নিয়মনীতি না মেনে পরিবেশ দূষণ করে গরু ও পোলট্রি ফার্ম স্থাপন করেছেন। এ ফার্ম দু‘টির গন্ধে এলাকায় বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে। গত রবিবার (২৪ জানুয়ারী) দুপুর ১২টার দিকে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে দেখা যায়, হাজী সুরুজ মিয়া আবসিক এলাকার মোহাম্মদ আলীর বাড়ীর সংলগ্ন উত্তর পাশে প্রায় শতাধিক গরুর ফার্ম করেছেন। ওই গরুর  ফার্মের ময়লা আবর্জনা পূর্ব পাশের ডোবায়  ফেলে হচ্ছে।

অপরদিকে, তার দক্ষিণ পাশে আব্দুর রশিদ টুকুর বাড়ী সংলগ্ন ৩ হাজার মুরগী নিয়ে আনিস এ্যাগ্রো ফার্ম স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মুরগীর ফার্মের গন্ধে আশপাশের ৩টি গ্রামে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। মুরগীর খামেরর পাশের বাড়ির দোলজান (৫০) অভিযোগ করে বলেন, দুর্গন্ধে আমাদের পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে বসবাস করতে পারছেন না। অনুরূপ অভিযোগ করেন প্রতিবেশি ফরিদ হোসেন, লিপি আক্তার ও আঃ রশিদসহ অনেকে।

গরুর ফার্মের মালিক হাজী সুরুজ মিয়া বলেন, যেহেতু এলাকাবাসীর সমস্যা হচ্ছে আমি দ্রুত ফার্ম সরিয়ে  নিয়ে যাব। মানুষের সমস্যা তৈরী করে  আবসিক এলাকায় গরুর ফার্ম রাখবেন না বলে তিনি জানান।


এ্যাগ্রো ফার্মের মালিক আনিসুর রহমান বলেন, ৬-৭ বছর যাবত মুরগীর ফার্মটি করে আসছি। ফার্মের বর্জ্যগুলো বাহিরে ফেলে দেয়া হয়। সামান্য ঝগড়ার কারণে কিছুলোক ষড়যন্ত্র করছে।


জামির্ত্তা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর হালিম রাজু বলেন, লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ফারুক আহম্মদ বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সাধারণত ইউএনও মহোদয়ের কাছে দিয়ে থাকেন। আমি তদন্ত করে প্রতিবেদন  দিয়ে থাকি। তবে জাইল্যা গ্রাম থেকে এখনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।