সুখ পেতে বহুতল বাড়ি লাগে না
মানিকগঞ্জ বার্তা
প্রকাশিত: ৩ জানুয়ারি ২০২০
সবাই সুখী হতে চায়। পৃথিবীতে এমন কাউকে পাওয়া যাবে না যে সুখী হতে চায় না। অনেকেই ভাবেন- অর্থকড়ি, শিক্ষা-দীক্ষা, বিবাহ, সন্তান-সন্ততি, পরিবার, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রতিপত্তি মানুষকে সুখী করতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে, এসব অর্জন আসলে মানুষকে সুখী করতে পারে না। সুখ পেতে আসলে বহুতল বাড়ি লাগে না। ছোট্ট চিলেকৌঠায়ও পাওয়া যায় সুখ।
আসলে লাখ লাখ মানুষের জন্য প্রকৃত সুখ যেন সোনার হরিণ। তারা সুখ কিনতে চায়, গাড়ি, বাড়ি, অলঙ্কার, কাপড়চোপড় বা ধন-দৌলতের মতো সুখও তাদের কাছে এক ধরনের পণ্য। এসব প্রাপ্তি মানুষকে সাময়িকভাবে কিছুটা সুখ দিতে পারলেও প্রকৃত প্রস্তাবে স্থায়ী সুখ প্রাপ্তির জন্য এসব অর্জন বড় ভূমিকা পালন করে না বলে সমাজবিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী বা চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা মনে করেন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, সুখ বৈষয়িক বা জাগতিক কোনো ব্যাপার নয়। সুখ বহুলাংশে মনস্তাত্ত্বিক বা আধ্যাত্মিক ব্যাপার।
এলিজাবেথ গিলবার্টের বিখ্যাত অনুপ্রেরণামূলক বই ‘ইট, প্রে, লাভ’। তার কাছে সুখের মানে মানুষের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা। বইটিতে বলা আছে, ‘সুখের জন্য যুদ্ধ করুন, সংগ্রাম করুন, কামড়ে ধরে থাকুন, সারা পৃথিবী চষে ফেলুন সুখের খোঁজে! সুখ পেতে আপনাকে হয়তো করুণ কঠিন প্রতিযোগিতার মাঝে দিয়ে যেতে হবে। আর একবার অর্জন করা হয়ে গেলে সুখের সমুদ্রে ভেসে থাকার জন্য নিরন্তর সাঁতার কাটতে হবে আপনাকে, যদি না করেন, চুঁইয়ে পড়বে আপনার সন্তুষ্টি, শেষ হয়ে যাবে সুখ।’
নিরন্তর প্রচেষ্টার এই পদ্ধতি কারো কারো জন্য কাজ করতে পারে, তবে সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে ভিন্ন তথ্য। এই পদ্ধতি অধিকাংশের ক্ষেত্রেই উল্টো ক্ষতি ডেকে আনে। সাথে আসে চাপ, একাকিত্ব ও ব্যক্তিগত পরাজয়। এই দর্শন অনুযায়ী, সুখ হলো লাজুক কোনো বুনো পাখির মতো, ধরতে গেলে সে উড়ে যাবে।
অনেক মনোবিজ্ঞানী বলেন, সুখ হল জেনেটিক বা বংশানুগতিসম্বন্ধীয়। আবার কিছু বিজ্ঞানী তাদের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের সূত্র ধরে বলেছেন, তারা মস্তিষ্কের এমন কিছু অংশ নির্ণয় করেছেন যেখান থেকে সুখ নিঃসৃত হয়। মিশিগানের হোপ কলেজের সাইকোলজি বিভাগের প্রফেসর ডেভিড মায়ার বলেন, জেনেটিক বা বংশানুগতিসম্বন্ধীয় তত্ত্বের ভিত্তিতে যে যাই বলুন না কেন, সুখ অনেকাংশেই মানুষের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি অনুভূতি। এটি অনেকটা মানুষের কোলেস্টেরল লেভেলের মতো, যা জেনেটিক্যালি প্রভাবান্বিত, আবার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মানুষের আচার-আচরণ বা লাইফস্টাইল এবং খাদ্যাভ্যাস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
সুখকে মাঝে মাঝে এক ধরনের স্বার্থিক উদ্দেশ্য বলে মনে করা হয়। মানুষের কী আছে- তার ওপর সুখ নির্ভর করে না। মানুষ কী ভাবে বা কিভাবে ভাবে- তার ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে সুখ। যার যা আছে বা যে অবস্থায় আছে তার জন্য শোকরিয়া জানিয়ে যদি দিন শুরু করা হয়- তাতে সুখ আসবে। মানুষ আজ যা ভাবছে তার ওপর ভিত্তি করে তার ভবিষ্যতের সুখ গড়ে উঠবে। সুতরাং কাজ-কর্ম ও চিন্তাধারায় পজিটিভ অ্যাপ্রোচ নিয়ে শুরু করলে জীবনে সুফল আসবে। আত্মবিশ্বাসে বিশ্বাসী, মর্যাদাবান, হৃদয়বান, জ্ঞানী-গুণী, সৎ মানুষ সাধারণত সব সময় সুখী হয়। যারা শুধু নিতে চায়, দিতে জানে না বা চায় না, তারা সুখী হয় না।
তাহলে কীভাবে সুখী হবেন? ডোপামিন নামক একটি নিউরোট্রান্সমিটারকে ‘ভালো লাগার হরমোন’ বলা হয়। গভীর ভালোবাসা বা মাদক যে তীব্র আনন্দ দেয়, তা এই ডোপামিনের জন্যই। নানা প্রক্রিয়ায় আমরা ব্রেইনের ডোপামিন লেভেল বাড়াতে পারি।
তবে নিয়মিত ব্যায়াম করুন, আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করুন, জীবনে যা পেয়েছেন, হয়েছেন তার হিসাব করুন, কী পাননি তা নয়—কোনো বিষয়েই কারও সঙ্গে নিজেকে তুলনা করবেন না। কেননা, মূলত জীবনে তুলনা বলে কিছু নেই। আপনি এ পৃথিবীতে অনন্য ও অসাধারণ। এ জীবনে যা পেয়েছেন, হয়েছেন তার জন্য গর্ব ও তৃপ্তি অনুভব করুন। বর্তমানে বাঁচুন, বর্তমানে জীবন যাপন করুন, অতীত, ভবিষ্যৎ বা অন্য কিছু যেন মনোযোগকে বিঘ্নিত করতে না পারে—একে আমরা বলি মাইন্ডফুলনেস; যারা আনন্দ দেয়, সম্মান করে, তাদের সঙ্গে থাকুন। যা করছেন গভীর মনোনিবেশ দিয়ে করুন, এর মধ্যে ডুবে থাকুন—একে বলে ফ্লো।
আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান বৃদ্ধি করে তেমন কিছু করুন। যা কিছু ভালো তা ধরে রাখুন, যা কিছু মন্দ সেসব ‘চলে যেতে’ দিন। ভালোবাসুন—মানুষকে, প্রাণীকে, প্রকৃতিকে। বেরিয়ে পড়ুন, ঘুরতে যান, প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকুন। ভালো আছি, সুখে আছি—এটি হোক নিত্যদিনের জপমন্ত্র। শেয়ার করুন নিজের আনন্দ সুখকে। জীবনে অনেকভাবে বাঁচা যায়, এক পথ বন্ধ হলে শত পথ খুলে যাবে।
- একই গাড়ির চাপায় চালক ও সহকারীর মৃত্যু
- কারাভোগ শেষে ১৭৩ বাংলাদেশি কক্সবাজারে
- প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকক পৌঁছেছেন
- নিহত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা
- তৈফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
- এখনো শেষ হয়নি তিন মামলার বিচার
- দেশে ফিরবেন সেই ২৩ নাবিক
- ইসরায়েলের ‘কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না’
- জিবুতিতে ফের অভিবাসীদের নৌকাডুবি
- যাত্রা শুরু হলো মারামারি দিয়ে
- বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে
- বুধবার গ্যাস থাকবে না ১২ ঘণ্টা
- স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেফতার
- ভরিতে কমল ৩১৩৮ টাকা
- কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি
- চতুর্থ ধাপের তফসিল হতে পারে আজ
- বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড
- স্টুডিওতে আ*গু*ন
- মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর
- ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে
- আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে
- বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
- ১৮ টন নিষিদ্ধ ঘনচিনি আমদানি
- স্ত্রীকে হত্যার পর মাটিচাপা
- জিম্মি মার্কিন মা-মেয়েকে মুক্তি দিলো হামাস
- ফ্রান্সে দফায় দফায় বোমা হামলার হুমকি
- আক্ষেপে পুড়ছেন বাবর আজম
- টানা ১৫ দিন চলবে স্মার্টওয়াচ
- জুনেদের ছবি নিয়ে তোলপাড়
- আইনজীবী সমাবেশে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- তৈফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
- বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে
- স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেফতার
- বুধবার গ্যাস থাকবে না ১২ ঘণ্টা
- দেশে ফিরবেন সেই ২৩ নাবিক
- ইসরায়েলের ‘কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না’
- এখনো শেষ হয়নি তিন মামলার বিচার
- জিবুতিতে ফের অভিবাসীদের নৌকাডুবি
- যাত্রা শুরু হলো মারামারি দিয়ে
- স্টুডিওতে আ*গু*ন
- কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি
- চতুর্থ ধাপের তফসিল হতে পারে আজ
- বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড
- ভরিতে কমল ৩১৩৮ টাকা
- কারাভোগ শেষে ১৭৩ বাংলাদেশি কক্সবাজারে
- নিহত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা
- প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকক পৌঁছেছেন
- একই গাড়ির চাপায় চালক ও সহকারীর মৃত্যু