• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বপ্নের ঠিকানা পাচ্ছে ১১৫ পরিবার

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২১  

পঞ্চাশোর্ধ্ব ফুলমালা বেগম। অকালে মারা গেছে স্বামী। যমুনা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে বাড়ি। নিঃসন্তান এই নারী অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। জমি নেই, ঘর নেই তাই রাস্তার পাশে ঝুপড়ি ঘর তুলে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন তিনি।

অবশেষে মানিকগঞ্জের শিবালইয়ের জাফরগঞ্জ এলাকার এ অসহায় বিধবা নারী পাচ্ছেন নিজের একটি বাড়ি। সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পে জমি আর ঘর বরাদ্দ করা হয়েছে তার নামে।

jagonews24

মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাড়ি পাচ্ছেন সারাদেশের প্রায় আট লাখেরও বেশি ভূমি ও গৃহহীন মানুষ। এরই ধারাবাহিকতায় ফুলমালার মতো মানিকগঞ্জের সাত উপজেলায় ১১৫টি পরিবার পাচ্ছেন স্বপ্নের ঠিকানা। প্রথম পর্যায়ে বিধবা, প্রতিবন্ধী স্বামী পরিত্যক্তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল ভূমি ও গৃহহীনরা আসবেন এই প্রকল্পের আওতায়।

২০ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘরগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।

jagonews24

সরেজমিন শিবালয় ও ঘিওর উপজেলার আশ্রয়ন প্রকল্পের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খাস জমি ভরাট করে সারিবদ্ধভাবে ঘরগুলো তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরের চালে লাল রংয়ের টিন। দেয়ালের রং থাকবে নীল। থাকার জন্য রয়েছে দুটি কক্ষ। রয়েছে স্টোর রুম, রান্না ঘর এবং টয়লেটও।

প্রকল্প এলাকায় কথা হয় কয়েকজন উপকারভোগীর সঙ্গে। যারা অন্যের বাড়ি অথবা রাস্তার পাশে ঘর তুলে বসবাস করতেন। নিজেদের একটি ঘর পেয়ে তারা খুশি সবাই।

তারা আরও জানান, জমির মালিকানাসহ ঘর পাওয়ায় তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন। যতদিন বেঁচে আছেন তার জন্য দোয়া করবেন তারা।

jagonews24

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় শিবালয় উপজেলায় ২১টি, ঘিওরে ২৫টি, সাটুরিয়ায় ৩০টি, হরিরামপুরে ১২টি, সিংগাইরে ১২টি এবং সদর উপজেলায় ১৫টিসহ মোট ১১৫টি ঘর তৈরি করা হয়েছে।

ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইরিন সুলতানা জানান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব তাদের নির্দেশনা দিয়েছিলেন নিজের বাড়ি মনে করে ঘরগুলোকে তৈরি করার জন্য। এজন্য তিনি ইট, টিন থেকে শুরু করে প্রতিটি মালামালের গুনগত মাণ ঠিক রাখার চেষ্টা করেছেন।

jagonews24

শিবালয় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম রুহুল আমিন রিমন বলেন, দুই শতাংশ জমির বন্দোবস্তের কাগজসহ উপকারভোগীরা দুই কক্ষ বিশিষ্ট ঘর পাচ্ছেন। প্রকল্প এলাকায় যাতায়াত সুবিধা, বিদ্যুৎ সংযোগ, সোলার সিস্টেম, বিশুদ্ধ পানিসহ নানা সুবিধা দিতেও কাজ করছেন তারা।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী, বিভিন্ন দফতরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে যাতে উপকারভোগীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে আয়বর্ধক কাজে ঋণ দিয়ে আত্মকর্মশীল করা হয়।