• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

১৯ মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবসকে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতির দাবি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২১  

‌১৯ মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবসকে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানিয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দেশের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নেতৃবৃন্দ। শনিবার  জয়দেবপুর চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।

১৯ মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ও বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরামের (বিজেআরএফ) সহায়তায় এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ‘‘মহান স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সূচনায় তৃণমূল চিত্র এবং জাতীয় ইতিহাস’’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়া।


সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী আতাউর রহমানের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ১৯ মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, সাবেক এমপি কাজী মোজাম্মেল হক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার, অধ্যক্ষ এম এ বারী, সাংবাদিক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল বারী, শহীদ হুরমুতের কন্যা প্রভাষক হালিমা খাতুন, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী, গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আতাউর রহমান, অধ্যাপক মুকুল কুমার মল্লিক, সাংবাদিক নেতা এম এ সালাম শান্ত, নূরুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা মজিবুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমান উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাইদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিউদ্দিন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম, গাজীপুর সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল হুময়ুন হিমু প্রমুখ।

সভায় কাজী মোজাম্মেল হক বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত করা যাবে না। আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের আরো তথ্যবহুল সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়া বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তার খুব কাছ থেকেই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। আমরা জাতীয়ভাবে ১৯ মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবসের স্বীকৃতি চাই।’

সভায় গাজীপুরে একটি ১৯ মার্চ জাদুঘর ও একটি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা এবং ১৯ মার্চ নামে জয়দেবপুর থেকে ঢাকা যাতায়াতকারী ট্রেনের নামকরণ করার জন্য দাবি জানানো হয়।