• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

২৫ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২০  

আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য এবার টিসিবির মাধ্যমে এ পণ্যটি বিক্রি করা হবে। তিন দিনের মধ্যে টিসিবি ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি শুরু করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে কোল্ডস্টোরেজ মালিক, আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। উল্লেখ্য, ১৫ দিনের ব্যবধানে আলুর কেজি ৫০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষি বিপণন অধিদফতর থেকে তিন স্তরে যে দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে সেটি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে ২৩ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ বিষয়টি কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নয়, কৃষি বিপণন অধিদফতরের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বাজার দর মনিটরিং করা, হ্রাস-বৃদ্ধির কারণ চিহ্নিত করা এবং তা স্থিতিশীল করার জন্য সরকারকে পরামর্শ দেয়া। তারা এসব বিবেচনা করে একটা পরামর্শ আমাদের কাছে দিয়েছে। আমাদের কাজ হলো ভোক্তাদের স্বার্থ দেখা। সে জন্য আমরা তারা যে পরামর্শটা দিয়েছে সেটি যেন ভোক্তারা পান সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের। এ জন্য আমরা আজকে আলোচনায় বসেছি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আজকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি কৃষি বিপণন অধিদফতর থেকে যে দামটা দেয়া হয়েছে সেটা বাস্তবায়ন করার। এর মধ্যে নির্ধারিত দাম নিয়ে বিবেচনার কথা বলেছেন কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। সে বিষয়ে আমি বলেছি আমরা দু-এক দিনের মধ্যেই কৃষি বিপণন অধিদফতরের সাথে বসব, সেখানে তারা যদি তাদের কোনো যুক্তি কিছু দেখাতে পারেন তা হলে তারা সেটা দিতে পারেন। কিন্তু এ মুহূর্তে আমাদের দু’টি জিনিস চাইÑ এক হলো যে দামটা দেয়া হয়েছে সেটা অবিলম্বে কার্যকর করতে চাই। আর দ্বিতীয়ত হলো, বরাবরের মতো আমাদের সঙ্কটকালে টিসিবি নামে। তাই আমরা টিসিবিকে নির্দেশ দেবো দ্রুত বাজার থেকে আলু কিনতে; যাতে আগামী তিন দিনের মধ্যেই টিসিবির মাধ্যমে ২৫ টাকা কেজি দরে আলু সাধারণ ভোক্তাদের দেবো। তিনি বলেন, কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দাম ২৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেটা না মানলে কোল্ডস্টোরেজ থেকে এই দামে আলু কিনে বাজারে ছাড়ার ক্ষমতা সরকারের আছে। তাই আমরা তাদেরকে বিপদে ফেলতে চাই না। যেভাবে হিসাব করা হয়েছে ২৩, ২৫ ও ৩০ টাকা। সেটা যথেষ্ট বিবেচনার মাধ্যমেই করা হয়েছে।
টিপু মুনশি বলেন, এ বছর আলুর উৎপাদনে দেরি হবে। পাশাপাশি বন্যা স্বাভাবিক শাকসবজির ওপর প্রভাব ফেলেছে। এর ফলে কিছুটা প্রভাব পড়েছে আলুর ওপরে। আমাদের যত ঝামেলাই যাক শীতকালীন শাকসবজি কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে বাজারে আসবে তখন আলুর ওপর চাপ কমবে। তাই কেউ মজুদ বা আটকে রাখলে বিপদেও পড়বে।