• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

৮৩ লাখ টাকার স্ট্রিট লাইটে জ্বলছে না একটি বাতিও!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২০  

মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে জেলা শহরের খালপাড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় ৮৩ লাখ ৬৮ হাজার ৬২০ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে ৫২টি স্ট্রিট লাইট। এর প্রতিটি খুঁটিতে দুইটি করে মোট ১০৪টি বাতির ব্যবস্থা রয়েছে স্ট্রিট লাইটগুলোতে।

সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত শহরের ব্যস্ততম সড়কটি আলোকিত করতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অর্থায়ন ও পৌরসভার তদারকিতে শেষ হয় এর নির্মাণ কাজ। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন না করায় আলো নেই ৮৩ লাখ টাকার স্ট্রিট লাইটে।


তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল জটিলতার অবসান ঘটিয়ে নব-নির্মিত বাতিগুলোতে আলোর ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন শহরবাসী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মানিকগঞ্জ শহরের এক ব্যবসায়ী বলেন, সারা দিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিকিকিনি শেষে রাতে রিকশা করে বাসায় যেতে হয়। পুরো সড়ক অন্ধকারে আচ্ছন্ন থাকে। ভয়ে ভয়ে বাসায় যেতে হয়। সড়ক বিভাজনে নির্মিত বাতিগুলোতে আলো জ্বললে শহরবাসীর জন্য বেশ উপকার হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।


শহরে প্রবেশের প্রধান সড়ক বিভাজনে লাইটগুলো লাগানো হয়েছে
আমজাদ হোসেন নামে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার এক রিকশা চালক বলেন, প্রায় এক যুগ ধরে মানিকগঞ্জ শহরে রিকশা চালান তিনি। রিকশায় কোনো প্রকার আলোর ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি শহরে প্রবেশের প্রধান সড়কের বিভাজনে লাইট লাগানো হয়েছে। তবে আলো জ্বলছে না। লাইটগুলোতে আলো জ্বললে বেশ উপকার হবে বলে জানান তিনি।

আরশাদ আলী নামে বান্দুটিয়া এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, সন্ধ্যার পরপরই শহরের খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন কলেজের আশেপাশে কিশোরদের আড্ডা জমে। পুরো এলাকাটি অন্ধকারে আচ্ছন্ন থাকায় অনেক সময় সড়কের পাশে মাদকসেবীদের আড্ডাও জমে।

এছাড়াও হাসপাতাল গেট ও আশেপাশের এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাও ঘটে। শহরে প্রবেশের প্রধান সড়কটিতে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা হলে এসব অপকর্ম কমে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মানিকগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী বেল্লাল হোসেন বলেন, গেলো বছরের ১৫ নভেম্বর ৬০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করে দেওয়ার চুক্তিতে মের্সাস সোহম এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্ট্রিট লাইট নির্মাণের কাজ শুরু করেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি নির্ধারিত সময়েই তাদের কাজ সম্পন্ন করে বলে জানান তিনি।

মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম বলেন, নির্ধারিত সময়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ সম্পন্ন করলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয় স্ট্রিট লাইটের উদ্বোধন করবে বলে বাতিগুলোতে আলো জ্বালানো হচ্ছে না। তবে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই স্ট্রিট লাইটগুলোতে নিয়মিত আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।