পাবনায় তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক নাজমুল হক জানান, এ দিন বিকেল ৩টায় পাবনার ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ মৌসুমে এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এটি তীব্র তাপপ্রবাহ। নাজমুল হক বলেন, ‘বর্তমানে ঈশ্বরদীর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। তীব্র তাপের কারণে সূর্যের আলো তির্যকভাবে শরীরে অনুভূত হচ্ছে। এ ছাড়া বর্তমানে আকাশে মেঘের উপস্থিতি খুবই কম এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় ঈশ্বরদীর প্রকৃতিতে তীব্র তাপ অনুভূত হচ্ছে। সহসা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘গত বছর ১৭ ডিসেম্বর ঈশ্বরদীতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই তাপমাত্রা হালকা, মাঝারি ও তীব্র হচ্ছে। প্রতিদিনই তাপমাত্রা বাড়ছে। এর মধ্যে তীব্র গরম উপেক্ষা করেই পেটের তাগিদে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষেরা কাজ করছে। এর বাইরে খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। যারা বাইরে বের হচ্ছে, তাদের অনেকেই ছাতা ব্যবহার করছে। তৃষ্ণা মেটাতে ফুটপাতে শরবতের দোকানে ভিড় করছে অনেকেই। মানুষের পাশাপাশি অন্যান প্রাণিরাও গরমে হাঁসফাঁস করছে।

পাবনা শহরের পৈলানপুর মোড়ে অটোরিকশায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন চালক মহির উদ্দিন (৬০)। তিনি বলেন, ‘এত্তো গরম আর তাপ বাপু জীবনে কুনুদিন দেহি নাই। রোদের মধ্যি যাওয়াই যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে শরীরের মধ্যি আগুন লাগতিছে।’ সংসারের প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কিনতে শহরে এসেছিলেন আরিফ হোসেন (৪৫)। বললেন, ‘খুব দরকার ছাড়া বাসা থেকে বের হতে ইচ্ছে করে না। এমন গরমে কোনো কিছিুতেই স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না। বাসায় ফ্যান চললেও গরম যাচ্ছে না।’

শহরের ঘোড়া স্ট্যান্ডে ভ্যানচালক মিজান হোসেন বলেন, ‘যে পরিমাণ রোদের তাপ, তাতে ভ্যান চালাবের পারতিছিনা। ছায়ায় বসে থাকা লাগতিছিলে। ভাড়াও হচ্ছে না। দিন গেলি সংসার খরচ, কিস্তির টেকার যোগাড় করা জুলুম হয়ে গ্যাছে।’ এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন বুধবার ছিল ২০.৫ ডিগ্রি, মঙ্গলবার ১৯.৮ ডিগ্রি এবং গত সোমবার ১৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। অর্থাৎ গত পাঁচ দিনে তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি বেড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *