• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

শুরু হলো বাংলা সাহিত্যের উৎসব ‘যতদূর বাংলাভাষা’

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০১৯  

ভারতের কলকাতার স্টার থিয়েটারে শুক্রবার থেকে শুরু হলো বাংলা সাহিত্যের উৎসব ‘যতদূর বাংলাভাষা’। 

তিনদিন ব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধন বিনোদিনী দাসীর স্মৃতিধন্য এই মঞ্চে হলেও বাকি দুই দিন হবে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে।

এই উৎসবে যোগ দিতে বিদেশ থেকে এসেছেন অনেক প্রবাসী বাঙালি এবং বাংলাদেশ থেকে একটি বড় দল। 

বাংলাদেশের কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদার কবিতার পঙক্তি এই অনুষ্ঠানের থিম–যতদূর বাংলাভাষা। স্বাভাবিক নিয়মে শুভেন্দু মাইতির উদ্বোধনী সঙ্গীতের পরে কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদা প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করেন। 

মঞ্চে ছিলেন কবি শুভেন্দু মাইতি, কবি কৃষ্ণা বসু, সাহিত্যিক ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, সাহিত্যিক অমিত গোস্বামী এবং আয়োজক ও যুগসাগ্নিক সম্পাদক কবি প্রদীপ গুপ্ত। 

আয়োজকদের পক্ষ থেকে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত এই আয়োজনকে বাঙালির সেতুবন্ধন বলে উল্লেখ করেন। 

প্রদীপ গুপ্ত বলেন যে সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এই আয়োজনে সার্বিক অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে বাঙালির ভাষার প্রতি দরদ এখনো অটুট। 

অমিত গোস্বামী এই অনুষ্ঠানকে বাংলাভাষার গর্বিত বিস্তার বলে উল্লেখ করেন। অতিথিদের পক্ষ থেকে কবি কৃষ্ণা বসু এই উদ্যোগকে ‘সারস্বত সাধনা’ ও শুভেন্দু মাইতি ‘কবি ও কবিতার স্বীকৃতি’ বলে উল্লেখ করেন। 

এই অনুষ্ঠানে সেরা সম্পাদক পুরস্কার পান বাংলাদেশের জলধি পত্রিকার সম্পাদক নাহিদা আশরাফি, শ্রেষ্ঠ কবির পুরস্কার লাভ করেন ‘ইচ্ছের এপিটাফ’ কবিটা সঙ্কলনের জন্যে কবি সঞ্জয় গুহঠাকুরতা এবং নবীন প্রতিভা হিসেবে পুরস্কৃত হন নাজমুল হালদার। 

বাংলা ভাষার প্রায় ৫০০ কবি এই অনুষ্ঠানে এই তিনদিনে কবিতা পড়ছেন। এই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আগত জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বেশ কিছু বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। 

২১ ডিসেম্বর প্রকাশিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর কলকাতার জীবন কাহিনী নিয়ে রচিত উপন্যাস অমিত গোস্বামীর ‘মহানির্মাণ’ এবং বাংলা সাহিত্যে বঙ্গবন্ধুর প্রভাব শীর্ষক একটি আলোচনা সভাও হচ্ছে। বেশ কিছু সাংগীতিক আয়োজন থাকছে। সব মিলে শীতের কলকাতায় এ এক অনন্য সাহিত্য মেলা।