গোসল করা ছিল মধ্যযুগীয়দের বিলাসিতা
মানিকগঞ্জ বার্তা
প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২১

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে কমবেশি সবাই সচেতন। রোগ ব্যাধি থেকে বাঁচতে পরিচ্ছন্ন থাকার বিকল্প নেই। পরিচ্ছন্নতার প্রধান কাজ হচ্ছে গোসল করা, চুল, হাতের নখ পরিষ্কার রাখা, ঘর পরিষ্কার করা। তবে বর্তমানে এগুলো আমাদের নিত্যদিনের কাজ হলেও মধ্যযুগ কিংবা তারও আগে এগুলো মানুষ চিন্তাই করতে পারত না। তাদের ভরসা ছিল সুগন্ধী।
মধ্যযুগে প্রায় ১০০০ বছর ধরে পশ্চিম ইউরোপীয়রা গোসলের বিষয়টি প্রায় ভুলেই গিয়েছিল। এমনকি তারা সাঁতার কাটতেও পারত না। ফরাসি ইতিহাসবিদ জুলেস মিসলেট ইউরোপের মধ্যযুগকে ‘গোসল ছাড়া ১০০০ বছর’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইউরোপে কয়েক শতাব্দী ধরে গোসল ও সাঁতারের সংস্কৃতির এই অনুপস্থিতি বিশ্বের অন্যান্য অগ্রগতি থেকে তাদের ছিটকে ফেলেছিল।
কাপড় ধোয়ার জন্য তারা ব্যবহার করত ছাই আর প্রস্রাব
সপ্তদশ শতকে উন্নত দেশগুলোয় গোসলের অনুপস্থিতি ও অপরিচ্ছন্ন অভ্যাস রীতিমতো অস্বাস্থ্যকর ও দুর্গন্ধময় অবস্থার সৃষ্টি করেছিল। ইউরোপীয়দের মনে ধারণা ছিল, গোসল করলে রোমকূপের মধ্যে দিয়ে দেহে রোগ-জীবাণু প্রবেশ করে এবং সেই কারণে তারা গোসল করতেন না। স্পেনের রানি ইসাবেল জীবনে মাত্র দুইবার গোসল করেন। যেদিন তার জন্ম হয় এবং দ্বিতীয় ও শেষবার তার বিয়ের দিন। ফ্রান্সে রাজপ্রাসাদকে বলা হয় ‘শাঁতো’। ফ্রান্সের রাজা প্রথম ফ্রাঁসোয়া ফ্রান্সজুড়ে এমন অনেক প্রাসাদ বা শাঁতো গড়েছেন। একেকটা প্রাসাদে শত শত কক্ষ।
তবে মজার ব্যাপার হলো, এতো বড় প্রাসাদে ছিল না কোনো বাথরুম। এখন ছবির মতো এখনকার যে ঝকঝকে ইউরোপ দেখতে পান। তা একসময় ছিল বস্তির মতো। তখনকার ১০ হাজার রাজ প্রাসাদসহ কর্মচারী ও চাকরদের থাকার স্থান সবকিছুই ছিল খুবই অপরিষ্কার। এছাড়াও মধ্যযুগে যারা প্রায়ই গোসল করত তাদেরকে সমাজের ধনী শ্রেণির ব্যক্তি মনে করা হত।
সুগন্ধী ছিল তাদের ভরসা
ইউরোপের রাস্তাঘাট এতোটাই ছিল যে, দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে মানুষ মাস্ক ব্যবহার করত। তবুও রাস্তা পরিষ্কার করত না। ঘরের যত ময়লা আবর্জনা ছিল সবই তারা রাস্তায় এনে ফেলত। হাত ধোয়ার জন্য তখন ব্যবহার হত চুন এবং কাঠের ছাই। মাঝে মাঝে তারা সাবান ব্যবহার করত। ধীরে ধীরে অবশ্য সাবান তৈরি করতে পারে তারা। এরপর এর সঙ্গে ফুলের সুগন্ধ যুক্ত করে। একবার কিছু লোক এক ধরনের সাবান তৈরি করেছিল। যেটি হাতে ঘষা দিলে চামড়া সহ উঠে আসত। ধীরে ধীরে এসব সাবান তৈরির প্রক্রিয়া পরিবর্তিত হয়ে কোমল সাবানে এসে ঠেকেছে। তবে এটিকে অনেকেই বিলাসিতা ভাবত। তাই সাধারণ জনগণ সাবান খুব কমই ব্যবহার করত।
টয়লেট পেপার আবিষ্কারের আগে তারা এই লাঠি ব্যবহার করতেন
কাপড় ধোয়ার প্রক্রিয়া ছিল আরো বীভৎস। কাপড় ধুয়ে পরার বালাই তাদের কমই ছিল। তবে যখনই পরিষ্কার করার প্রয়োজন হত, তখন এক ধরনের মিশ্রণ ব্যবহার করত। যা তৈরি হত সাদা ছাই এবং প্রস্রাব দিয়ে। এটি আসলে অনেকটা ব্লিচের কাজ করত। যে কোনো রঙের পোশাককে এটি সাদা করে ফেলত। এর মানে হচ্ছে যখনই তাদের কাপড়ের রং অতিরিক্ত ময়লার কারণে পরিবর্তন হয়ে যেত, তখন তারা রং পরিবর্তন করতেই এই কাজ করত।
চারদিকে ছিল ময়লা আবর্জনার স্তূপ
সেসময় ইউরোপীয়দের কাছে রাখঢাক বলে কিছু ছিল না। যেকোনো জায়গায় সবার সাম্নেই তারা উলঙ্গ হয়ে যেত। গোসল করা কিংবা মলমূত্র ত্যাগ করার কাজ সেরে নিত। মধ্যযুগে টয়লেট পেপারের কোনো বালাই ছিল না। এসময় তারা লাঠিযুক্ত এক ধরনের স্পঞ্জ ব্যবহার করত। কেননা সেসময় টয়লেট পেপার আবিষ্কারই হয়নি।
নারীরা মাথায় এক ধরনের টুপি পরতেন
এখনকার সময়ে নারীদের চুলে বিভিন্নভাবে কাটা ফ্যাশন হলেও তখন ছিল এর পুরো উল্টা। মধ্যযুগে ইউরোপীয় নারীরা সারা জীবনে হয়তো এক থেকে দুইবার চুল কেটেছে। আর চুল ধোয়া ছিল তাদের কাছে বাৎসরিক কাজ। তবে এই যুগের শেষের দিকে এসে প্রতি শনিবার নারীরা চুল ধুতেন। তবে চুল বেঁধে রাখতেন সবসময়। আর মাথায় পরতেন এক ধরনের টুপি। যা তাদের চুল পুরোপুরি ঢেকে রাখতে পারত। তবে উকুন ছিল তাদের জন্য বিরাট এক সমস্যা। পুরুষদের জন্য দাড়ি কাটা বা চুল কাটার প্রবণতা ছিল খুবই কম। তারা শুধুমাত্র মাথার মাঝখানটুকু শেভ করত। আর বাকিচুল সন্ন্যাসীদের মতো অনেক বড় বড় থাকত।
সারাক্ষণ মাতাল অবস্থায় কাটাত মধ্যযুগীয় ইউরোপীরা
মানব বর্জ্য শহরের বাইরে ফেলার ব্যবস্থা করা হয় অনেক পরে। এর আগে যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকত। এতে শহরময় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে থাকত। যা ছিল তাদের জন্য খুবই অসবাস্থ্যকর। পরে এগুলো শহরের বাইরে ফেলার ব্যবস্থা করা হত। তবে ড্রেনের ঢাকনা দিতে ভুলে গিয়েছিল তারা। ফলে অবস্থার খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। রাজা রানিরা তাদের মল ফেলার জন্য চাকর নিয়োগ দিতেন। কেননা সেসময় প্রাসাদে কোনো টয়লেট ছিল না। তারা একটি মখমল দিয়ে তৈরি বাক্সে তাদের কাজ সারতেন। এরপর চাকর তা বাইরে ফেলে আসত।
দাঁত পরিষ্কার করতে ইউরোপীয়রা ব্যবহার করতেন এই ধরনের চামচ
দাঁত মাজার ব্যাপারটি তখনকার ইউরোপীয়রা জানতই না। তারা এক ধরনের চামচ ব্যবহার করতে দাঁত পরিষ্কার করার জন্য। আর কানের জন্য ছিল টিউব টাইপ একটি জিনিস। মধ্যযুগে ইউরোপে চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল খুবই সীমিত। নারীদের জন্য কোনো চিকিৎসা ছিল না। ব্যথার জন্য সামান্যই কিছু ওষুধপত্র ব্যবহার করতেন তারা। সবসময়ই মানুষেরা বিভিন্ন ধরনের রোগে ভুগতেন। অনেকেই ধারণা করেন ইউরোপীয়দের নোংরামী এমন পর্যায় গিয়েছিল যে, সারা শহর ইঁদুরে ভরে গিয়েছিল। আর সেখান থেকেই প্লেগ রোগ ছড়াতে শুরু করে।
- বান্দরবানে কেএনএফ ক্যাম্পে অভিযানের সময় সেনাসদস্য নিহত
- মানিকগঞ্জ জেলা আ. লীগ কার্যালয়ে ‘স্মার্ট কর্নার’ উদ্বোধন
- মানিকগঞ্জে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত
- মানিকগঞ্জে হাসপাতাল বন্ধ, পরিচালকের ৪ মাসের জেল
- সংকট উত্তরণের বাজেট
- বিমানে মন্ত্রী-সচিবদের প্রথম শ্রেণিতে বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত
- পিপিপি’র পাইপলাইনে নতুন ১৩ মেগা প্রকল্প
- জাবিতে বৃক্ষনিধন ও অপরিকল্পিত উন্নয়নের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
- সাভারে ১০ কেজি গাঁজাসহ আটক ১
- রেকর্ড সংখ্যক সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ
- সরকারের পদক্ষেপে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ সম্ভব হয়েছে
- বাংলাদেশে সুইডেনের আরও বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
- মানিকগঞ্জে প্রাইভেটকার চাপায় নিহত ১
- ঈদে লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকছে না
- ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের নামে দুদকের মামলা
- জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো দেশের প্রথম ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র
- অর্থনৈতিক অঞ্চলে সুইডেনের বৃহত্তর বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
- আনসার-ভিডিপি সদস্যদের পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ
- নতুন বাজেট ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার
- মানিকগঞ্জে তিন গাঁজা ব্যবসায়ীর কারাদণ্ড
- দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান প্রদর্শনী
- তামাক এক প্রকার বিষ যা মানুষকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে
- ৬০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি করা হচ্ছে
- সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু
- আশুলিয়ার কিশোর গ্যাং সদস্যদের হামলায় গার্মেন্টস শ্রমিক আহত
- সিংগাইরে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, হাসপাতাল ভাংচুর
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পরিচর্যাকারীদের জন্য স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প
- সাংবাদিক শাকিলকে হত্যাচেষ্টা: তিন ভাইয়ের কারাদণ্ড
- ডিএনসিসির ৫৪ ওয়ার্ডে হবে চিকিৎসাকেন্দ্র
- রাজধানীতে লাজ ফার্মাকে জরিমানা
- নায়ক ফারুক আর নেই
- চারটি রাজধনেশ পাখি উদ্ধার, দুজনের ৬ মাসের কারাদণ্ড
- ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি-ধর্ষণ মামলা
- অশান্তি-সংঘাত চাই না সবার উন্নতি চাই
- রেকর্ড সংখ্যক সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ
- দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী
- আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে নেই চিরচেনা জটলা, জনমনে স্বস্তি
- বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের বঙ্গভবনে সংবর্ধনা দেবেন রাষ্ট্রপতি
- মানিকগঞ্জে যুবলীগের পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ শুরু
- সীমান্ত হত্যা বন্ধে বিজিবিকে আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
- মানিকগঞ্জে ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প
- মানিকগঞ্জে হেরোইন ও মদসহ চারজনকে গ্রেপ্তার
- জাবির নতুন হলের ক্যান্টিনে ‘গলাকাটা’ দাম, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা
- মানিকগঞ্জে শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলায় কথিত কবিরাজের ৫ বছর কারাদণ্ড
- সরকারি চাকরিতে ৩০’র চেয়ে ২৫ বছর বয়সীরা ভালো রেজাল্ট করে
- নভেম্বর থেকে ৯ সেতু ও ২ সড়কে স্বয়ংক্রিয় টোল বাধ্যতামূলক
- সাভারে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল পোশাকশ্রমিকের
- সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক চেম্বারে রোগী কম
- ‘বাঙালির গর্বের ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে হবে’
- প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাস্থসেবা নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য