• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

হতাশায় জাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২৩  

চাকরি না পাওয়ার হতাশায় এবং ভারতে গিয়ে চোখের চিকিৎসা করার খরচের চাপ থেকে পরিবারকে রক্ষা করতে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান (২৯)। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার স্বরূপদাহ ইউনিয়নের জলকার-মাধবপুর গ্রাম এ ঘটনা ঘটে। হাবিবুর রহমান জলকার-মাধবপুর গ্রামের মরহুম আয়নাল হকের ছেলে।

জানা গেছে,সম্প্রতি হওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ভাইভা দিয়েছিলেন হাবিব। তার প্রতিবন্ধী কোটা থাকলেও চাকরি হয়নি। বন্ধুদের মধ্যে অনেকের চাকরি হওয়ায় তিনি হতাশায় ছিলেন। গ্রামে বসতবাড়িতে ফ্যানের হুকের সাথে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীর অনুরোধে তার লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেয় পুলিশ।

নিহতের বড় ভাই আনিছুর রহমান বলেন, ‘চাকরি না পাওয়ার হতাশা থেকেই হাবিব আত্মহত্যা করেছে। এছাড়া অন্য কোনো কারণ আমাদের জানা নেই। পুলিশের রিপোর্টেও এটাই লেখা হয়েছে।’ তবে চাকরি না পেয়েই তিনি আত্মহত্যা করেছেন এটা অস্বীকার করে হাবিবুরের আরেক ভাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করা মাহবুব রহমান বলেন, ‘হাবিবের একটা চোখ নষ্ট ছিল। এজন্য সে অন্য মানুষদের থেকে দূরে থাকতেন। পড়ালেখা করার কারণে তার আরেকটা চোখেও ব্যথা শুরু হয়। তাকে চিকিৎসা করাতে ভারত নেয়ার জন্য পাসপোর্ট ভিসার প্রক্রিয়া চলছিল।’

মাহবুব রহমান আরো বলেন, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভাইভা দেয়ার পর চাকরি হয়নি। তাই সে আবারো নতুন করে লেখাপড়া শুরু করেন। এতে তার চোখের ব্যথা আরো বেড়ে যায়। সে ভয়ে ছিল, যদি তার অন্য চোখটিও নষ্ট হয়ে যায়! ধারণা করছি, এমন হতাশায় সে আত্মহত্যা করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে হাবিবুর সবার ছোট। সে ২০১৪ সালে যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বছরখানেক আগে তার লেখাপড়া শেষ হয়।’ চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত ইয়াসিন আলম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের লোকজনের আবেদনে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়।