• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, ৩ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০২৩  

রাজধানীর কেরানীগঞ্জ মডেল থানার বামনশুর নীমতলা এলাকায় প্রান্ত নামে এক ব্যক্তিকে মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এতে অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারা হলেন- এস আই সামিউল, কনেষ্টবল সোহেল রানা ও কাজী আলমগীল।

অনুসন্ধানে এ ঘটনার সত্যতা মিললে বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) তাদের প্রত্যাহার করা হয়। ভুক্তভোগীর স্ত্রী মনিকা বলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে বামনশুর নীমতল এলাকা থেকে সাদা পোশাকের কিছু লোক পুলিশ পরিচয় দিয়ে আামার স্বামীকে তুলে নিয়ে যোয়। পরে আমাকে মুঠোফোনে জানান তারা আমার স্বামী মাদকসহ আটক করেছেন। তাকে মামলা দিয়ে হাজতে পাঠানো হবে। মামলা বন্ধ করতে হলে এখনই ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আসতে হবে। দেরি হলে চালান করে দেয়া হবে।

পরে আমি আমার স্বর্ণালংকার বিক্রি করে ৩২ হাজার টাকা নিয়ে গেলে, তারা আমার সঙ্গে গালিগালাজ করে বলেন, ৫০ হাজার টাকার কম হবে না। উপায় না পেরে তখন আত্মীয় স্বজনদের থেকে টাকা সংগ্রহ করে, ৫০ হাজার টাকা দিয়ে রাত ১২টার দিকে রুহিতপুর এলাকা থেকে আমার স্বামীকে নিয়ে বাড়ি যাই।

ভুক্তভোগীর ছোট বোন নাদিয়ে বলেন, এস আই সামিউল ও পুলিশের সোর্স শুভ আমাদের বাড়ি এসে এখনো মামলার ভয় দেখাচ্ছে। তারা বলছেন, তোরা যদি এ বিষয়ে কারো কাছে জানাস তাহলে সারাজীবনের জন্য জেলে ভরে রাখবো। আমার ভাই প্রান্তকে ছেড়ে দেওয়ার সময় পুলিশের লোকেরা মুঠোফোনে মিথ্যা জবানবন্ধিও রেখেছেন। 

এজন্য আমরা এখনো ভয়ে আছি। এস আই সামিউলের নিকটে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদক  উপরে চড়াও হন। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট জানালে, তাদের কাছে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মামুনুর রশিদ বলেন, এস আই সামিউল তার অপরাধ স্বীকার করেছেন। তাকেসহ দুই কনেষ্টবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিভাগীর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোনো সদস্য আপরাধে জড়ালে বাহিনী তা মেনে নেবে না। ভুক্তভোগীরা ন্যায় বিচার পাবেন।