স্মার্ট বাংলাদেশে কেউ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
মানিকগঞ্জ বার্তা
প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৩
![](https://www.manikgonjbarta.com/media/imgAll/2021July/6-2303181325.jpg)
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের শিশুদের মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তারাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট জনগোষ্ঠী।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে কোনো শিশুই শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে না, কোনো মানুষই ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত হবে না, সব মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করে বাংলাদেশকে আমরা গড়ে তুলবো।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাগাড়ায় জাতির পিতার সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস- ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় এটি অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় শিশু দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আজকের শিশুদের এইটুকুই বলবো যে, খেলাধুলা, শরীরচর্চা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, শিক্ষকদের কথা মান্য করা, অভিভাবকদের কথা মান্য করা এবং প্রতিটি শিশুকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। সবাইকেই উন্নত মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন হতে হবে। যারা প্রতিবন্ধী বা অক্ষম তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু তার আদর্শ আছে। সেই আদর্শ নিয়েই বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো। আগামীর বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’।
বর্তমান সরকার শিশুদের সুরক্ষার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। আগামীতে ২০৪১ সালে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ আমরা গড়তে চাই। আজকের শিশুরাই হবে সেই আগামী দিনের স্মার্ট জনগোষ্ঠী। যারা এই বাংলাদেশকে গড়ে তুলবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলা ও শরীরচর্চার মাধ্যমে আজকের শিশুদের উন্নত নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জাতির পিতা যেমন ফুটবল খেলতেন, তার দাদাও খেলতেন আর আমার ভাইয়েরা তো খেলতেনই। এমনকি ছেলে-মেয়ে এবং নাতি-পুতিরাও খেলাধুলা করে। এ জন্য তার সরকার আন্তঃস্কুল, আন্তঃকলেজ এবং আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত খেলাধুলা ও প্রতিযোগিতার নানারকম ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা খেরাধুলায় অংশগ্রহণ করলে শরীর ভালো থাকবে, মন-মানসিকতা ভালো থাকবে এবং সবাই একটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে গড়ে উঠবে। সেটাই আমি চাই।
‘অন্ধকে অন্ধ বলিও না, আর পঙ্গুকে পঙ্গু বলিও না- এটাতো ছোটবেলার শিক্ষা। কাজেই তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। আমরা তাদেরকে ভাতা দেই এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা বৃত্তিও দিয়ে থাকি। কাজেই সবাই একই সমাজের, সবাই একই সংসারের।’
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা শিশুদের ভালোবাসতেন এবং শিশুদের জন্য তার অত্যন্ত দরদ ছিল। শিশুদের সঙ্গে খেলা করতেও তিনি ভালোবাসতেন। এজন্য তার জন্মদিনকে আমরা ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছি। কারণ, শিশুরা আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যত এবং তারা যেন যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, টুঙ্গিপাড়া জাতির পিতা শেখ মুজিবের জন্মস্থান। এই মাটিতে তিনি জন্ম নিয়েছেন, বড় হয়েছেন এবং এই মাটিতেই তিনি শায়িত। নিজের জীবনকে তিনি উৎসর্গ করেছিলেন বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য। তার ভেতর যে মানবিকতা রয়েছে, মানুষের প্রতি দরদ, শিশুকাল থেকেই সেটা দেখা গেছে। যখন স্কুলে পড়তেন তখন থেকেই দরিদ্র কোনো শিক্ষার্থী যার বই নেই তাকে বই দিয়ে দিতেন। নিজের গায়ের কাপড় খুলে দরিদ্র মানুষকে বিলিয়ে দিতেন। এমনকি দুর্ভিক্ষের সময় নিজের গোলার ধান পর্যন্ত মানুষের মধ্যে বিলিয়েছেন। তার ভেতর সেই মানবিকতা ছোটবেলা থেকেই আমার দাদা-দাদি লক্ষ্য করেছেন।
তিনি বলেন, বড় হয়ে জাতির পিতা, যারা একেবারে শোষিত-বঞ্চিত ছিল, একবেলা খাবার পেত না, কোনো পুষ্টি ছিল না, রোগে চিকিৎসা পেত না তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্যই আজীবন সংগ্রাম করেছেন। আমরা আজ যে মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে পারছি সেজন্য ১৯৪৮ সাল থেকে আন্দোলন-সংগ্রাম জাতির পিতাই শুরু করেছিলেন। তারই নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা ও স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপরিচয়।
সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতা কেবল স্বাধীনতাই এনে দেননি। তিনি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুণর্গঠনকালে মাত্র নয় মাসের মধ্যে যে সংবিধান দিয়েছিলেন, সেখানেই শিশু অধিকারের কথা বলা আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করার মাধ্যমে দেশের প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন। দুস্থ-অনাথ শিশুদের সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতীয় শিশু আইন, ১৯৭৪ প্রণয়ন করেন। তিনি এসব শিশুদের জন্য ‘কেয়ার অ্যান্ড প্রটেকশন সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেন। যা বর্তমানে সরকারি শিশু পরিবার নামে পরিচিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে পুনরায় সরকার গঠনের পর আমরা জাতীয় শিশু শ্রমনীতি ২০১০, পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০, জাতীয় শিশুনীতি ২০১১ এবং মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশু খাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছি।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০১৩-২০২৫), উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন ২০১৪, বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন ২০১৭, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আইন ২০১৮, বাল্যবিয়ে নিরোধকল্পে জাতীয় মহাপরিকল্পনা (২০১৮-২০৩০) এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন ২০২০ প্রণয়ন করেছি।
‘২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি সরকারি রেজিস্টার্ড ও কমিউনিটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এক লাখ ৫ হাজার ৬১৬ জন শিক্ষকসহ জাতীয়করণ করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার সমম্প্রসারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি ও উপবৃত্তি প্রদানের উল্লেখ করে বলেন, ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরিমার্জিত কারিকুলাম অনুযায়ী বছরের প্রথম দিনে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে নতুন পাঠ্যবই বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষাক্রমে কম্পিউটার কোডিং পদ্ধতি এবং শিখন-শেখানো কার্যক্রমে ব্লেন্ডিং অ্যাপ্রোচ প্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের দক্ষতা বিকাশে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল। শিশুদের পক্ষে বক্তব্য রাখে স্বপ্নিল বিশ্বাস।
শিশু প্রতিনিধি স্নেহা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করে দুই শিশু রুবাবা তোহা জামান ও এ এল শরফুদ্দিন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘বঙ্গবন্ধু ও শিশু অধিকার’ শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
জেলা প্রশাসন আয়োজিত চিত্রাঙ্কন এবং জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ওপর কুইজ প্রতিযোগিতা এবং আবৃত্তি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
- সাভারে পোশাক কারখানার গুদামের আ*গুন
- ঢাকার বাতাস আজ সংবেদনশীল
- মাছ চাষে নজর দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- সীমান্তে হাজার হাজার মাইন বসিয়েছে উত্তর কোরিয়া
- চিপস খেয়ে হাসপাতালে ১৪ শিক্ষার্থী
- সাভারে দুই স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার
- গড়পাড়া ইমামবাড়ির শতবর্ষী আশুরার মিছিল
- শুক্রবার থেকে আবার বাড়তে পারে বৃষ্টি
- দিনে পরিবহন শ্রমিকদের ক্ষতি ৭০০ কোটি
- থাইল্যান্ডে পাঁচতারা হোটেলে ছয় বিদেশির মৃতদেহ
- তোপের মুখে স্ট্যাটাস মুছে দিলেন অপু
- ছারছীনা দরবার শরীফের পীর সাহেবের ইন্তেকাল
- পবিত্র আশুরা আজ
- দৌলতপুরে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ উদ্বোধন
- সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী
- রক্তের গ্রুপ রিপোর্ট মিলছে ফটোকপির দোকানে
- মঙ্গলবার ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
- নবাবগঞ্জে দুর্নীতিবিরোধী মানববন্ধন
- শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস আজ
- আশুরা উপলক্ষে যেসব নিষেধাজ্ঞা দিল ডিএমপি
- মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ
- সাভারে ৪০ তরুণ-তরুণী আটক
- ইমরান খানের দলকে নিষিদ্ধ করতে মামলা করবে পাকিস্তান সরকার
- পানিতে ডুবে জামাইয়ের মৃ*ত্যু
- কেরানীগঞ্জে অবৈধ সিসা কারখানা
- তিনবার স্থানান্তর করেও ঝুঁকিতে বিদ্যালয়, আতঙ্ক নিয়ে ক্লাস
- ৪ প্যাকেজে দুই বিলিয়ন ডলার দেবে চীন
- ট্রাম্পের ওপর হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক
- স্কুলছাত্রের আত্মহ*ত্যা
- নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি
- এমবাপ্পের নাকে অ*স্ত্রোপচার, ছিটকে যেতে পারেন ইউরো থেকে
- বাদাম ক্ষেতে দুই রাসেলস ভাইপার, অতঃপর...
- ধানমন্ডিতে মাইক্রোকে ট্রাকের ধাক্কা, সড়কে ছড়িয়ে পড়লো ধান
- মহররমের চাঁদ দেখা যায়নি
- স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কাটলেন স্ত্রী
- হ*ত্যার হু*মকি জানতে পেরে ব্যারিস্টার সুমনের জিডি
- ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক
- সাভারে ৪০ তরুণ-তরুণী আটক
- আইজিপির মেয়াদ বাড়াল সরকার
- কাঁচামরিচের কেজি ৪০০ টাকা
- পাহাড় ধসে ৯ জনের প্রাণহানি
- জন্মান্ধ তরুণীকে ধর্ষণ, পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা
- সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন পরীমনি
- বাড়িতে মিলল যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ
- ধামরাইয়ে রথ উৎসব আজ
- ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয় দক্ষিণ আফ্রিকার
- পাওয়েল-রাদারফোর্ডে বড় পুঁজি ওয়েস্ট ইন্ডিজের
- কলকাতায় ছিনতাই কেরানীগঞ্জে আইফোন উদ্ধার
- হিমুর প্রতিবেদন দাখিল পেছালো এক মাস
- মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব