• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আখেরি মোনাজাতে শেষ হল বিশ্ব ইজতেমা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

দেশের কল্যাণ, দুনিয়া ও আখেরাতের শান্তি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।

তাবলিগ জামাতের দিল্লি মারকাজের অনুসারীদের অংশগ্রহণে টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্যায় শেষে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এই আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন লাখো মানুষ। মোনাজাত পরিচালনা করেন দিল্লির মাওলানা শামীম।

এর আগে শনিবার ঢাকার কাকরাইল মসজিদের ইমাম মুহাম্মদ জোবায়ের পরিচালনায় তাবলিগ জামাতের দেওবন্দপন্থিদের ইজতেমা শেষে রোববার সকালে দিল্লির মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের সম্মিলন শুরু হয়।

দ্বিতীয় পর্যায়ের ইজতেমা সোমবার শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিরূপ আবহাওয়ায় প্রথম দিনের কর্মসূচি বিঘ্নিত হওয়ায় আখেরি মোনাজাত এক দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়।

আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকেই দূর দূরান্ত থেকে টঙ্গীতে আতে শুরু করে মানুষ। যানবাহন না পেয়ে অনেকেই পায়ে হেঁটে ইজতেমা মাঠে পেঁছান।

ফজরের নামাজের পর উর্দুতে বয়ান করেন দিল্লির হাফেজ ইকবাল নায়ার। বাংলায় তা তরজমা করে শোনান বাংলাদেশের  মাওলানা মুফতি ওসামা বিন ওয়াসিফ।

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার টঙ্গীর তুরাগ তীরে দিয়ে শেষ হয়েছে তাবলিগ জামাতের দিল্লি মারকাজের অনুসারীদের অংশগ্রহণে বিশ্ব ইজতেমা। মাহমুদ জামান অভি সকাল ১০টার দিকে উর্দু ভাষায় হেদায়েতি বয়ান করেন দিল্লির মাওলানা শামীম। বাংলায় তা তরজমা করেন মাওলানা আশরাফ আলী।

মাওলানা শামীম পরে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। আখেরি মোনাজাতের আগেই ইজতেমা ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।

ময়দানের আশপাশের অলি-গলি, রাস্তা, পাশের বাসাবাড়ি, কল-কারখানা ছাদ, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, টঙ্গী-ঘোড়াশাল ও কামারপাড়া সড়কে অবস্থান নিয়েও অনেকে মোনাজাতে হাত তোলেন। বেলা পৌনে ১২টায় শুরু হয়ে ১২টা ২ মিনিটে মোনাজাত শেষ হয়। 

 

তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের কোন্দলে তাবলীগ জামাতের বিশ্ব আমির নিজামউদ্দিন মারকাজের শীর্ষ নেতা মাওলানা সাদ এবার ইজতেমায় আসেননি। তার পক্ষে ৩২ সদস্যের একটি দল দিল্লি থেকে এসে ইজতেমায় যোগ দেন। তাদের নেতৃত্ব দেন মাওলানা শামীম।

তাবলিগের এই অংশের মুরুব্বি মাওলানা মো. আশরাফ আলী জানান, ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, কাতার, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেমিয়া, চীনসহ ৩৬টি দেশের সহস্রাধিক মেহমান এবারের ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন।

 টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নেয় সব বয়সী মানুষ। আখেরি মোনাজাত শেষে সাদপন্থিদের তাদের আগামী ইজতেমার তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে।

বিশ্ব ইজতেমার মূল কমিটির সদস্য মো. হারুন-অর-রশিদ জানান, তাদের অংশের পরবর্তী ইজতেমা হবে ২০২০ সালের ৩ থেকে ৫জানুয়ারি।

তার আগে চলতি বছরের ২২ থেকে ২৬ নভেম্বর টঙ্গীর ইজতেমা মাঠেই হবে পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা।

দেওবন্দপন্থিদের ২০২০ সালের বিশ্ব ইজতেমা হবে দুই পর্বে। আগামী বছর ১০ থেকে ১২ জানুয়ারি প্রথম দফা এবং ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফার ইজতেমা হবে বলে গত শনিবার আখেরি মোনাজাত শেষে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়।

তাবলিগের এ অংশের জোড় ইজেতমা হবে চলতি বছরের ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর- পাঁচ দিন