• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

হরিরামপুরে জিরা চাষে সাড়া

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২২  

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চরাঞ্চলে প্রথমবারের মত জিরা চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক বারেক আলী। উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের হাতিঘাটা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা বারেক চরাঞ্চলে ৩৩ শতাংশ জমিতে এই প্রথম জিরা চাষ করেন। ফলন ভাল হওয়ায় লাখ টাকার বেশি লাভের আশা করছেন এ কৃষক।

হরিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গাফফার বলেন, “দেশে জিরার চাহিদা মেটাতে আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। বাংলাদেশের দু-চারটি জেলায় জিরা চাষ হচ্ছে। এবার মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চরাঞ্চলে জিরার চাষ হচ্ছে।”

জিরা গাছ সাধারণত ২০ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা হয় বলে জানান এ কৃষি কর্মকর্তা। তিনি বলেন, বর্তমানে লম্বা, খাটো, গোলাপি ও সাদা ফুল এই চার ধরনের জিরা হয়। জিরা উষ্ণমণ্ডলীয় ফসল হলেও মধ্যম মানের আবহাওয়া বেশি চাষ হয়। শীতকালীন ফসল হিসেবে এর আবাদ হয়। সাধারণত নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরে জিরার বীজ বপন করা হয়। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে শুষ্ক আবহাওয়া থাকে, তখন ফুল ফোটা ও বীজ গঠন করা শেষ হয়। ৮০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে জিরা পরিপক্ব হয়।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনার মৃত মিরাজ উদ্দিনের ছেলে জিরা চাষি বারেক আলী বলেন, ”প্রায় দুই দশক আগে চুয়াডাঙা থেকে হরিরামপুর হাতিঘাটা আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস শুরু করি। চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় এক আত্মীয় জিরা চাষ করেন। তার কাছ থেকে এক কেজি জিরার বীজ এক হাজার টাকা দিয়ে নিয়ে আসি। চরের ৩৩ শতাংশ জমিতে মানিকগঞ্জ জেলায় প্রথম জিরা চাষ আমিই করছি।” তবে জিরা চাষে খরচ বেশী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ”একাধিকবার নিড়ানি ও সার দিতে হয়। এ কারণে ৩৩ শতাংশ জমিতে ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। ”ফলন ভালো হওয়ায় লাখ টাকার বেশি লাভ হবে বলে প্রত্যাশা তার।