• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সাটুরিয়ায় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে কৃষকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২২  

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে কৃষকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লণ্ডভণ্ড হয়েছে কৃষকের স্বপ্ন। এই ঝড়ে কৃষকের পাকা ধান মিশে গেছে মাটির সাথে। পানিতে তলিয়ে গেছে ধান, ভুট্টা, সরিষাসহ বিভিন্ন শাকসবজির ক্ষেত।

সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সিত্রাংয়ের কারণে কৃষকের উৎপাদিত ফসল প্রায় ১০০ হেক্টর ভুট্টা, ২৫ হেক্টর সরিষা, ২৫ হেক্টার ধান, ৬০ হেক্টর মাসকলাই ও ধনিয়া ৪০ হেক্টর পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া শীতকালীন সবজি সবই নষ্ট হয়ে গেছে। বিশেষ করে কৃষকের ঘরে ১৫ দিন পরেই উঠবে রোপা আমন ধান। অতিবৃষ্টি হওয়ার কারণে ওই আধাপাকা ধান পড়ে পানিতে ভাসছে।

কৃষক জলিল মিয়া বলেন, আগাম ভুট্টা লাগিয়েছিলাম। অতিবৃষ্টির কারণে ওই ভুট্টা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সব চারা মরে যাবে। তিনি কয়েক বিঘা ভুট্টার আবাদ করেছিলেন। এতে প্রায় তার ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়।

রাধানগর গ্রামের হোসেন আলী বলেন, আর ১০-১২ দিন পর ধান কাটব। সেই আধা পাকা ধান ঝরে পরে পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিতে তলিয়ে থাকা বেশির ভাগ ধান পচে যাবে। এতে তার প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ক্ষতি হবে।

জান্না গ্রামের কৃষক সোহেল হোসেন বলেন, দুই বিঘা জমিতে চড়া মূল্য দিয়ে সার কিনে সরিষা বুনেছিলাম। একদিনের বৃষ্টিতে সেই সরিষা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে তার ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা লোকসান হবে বলে জানান।

সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান বলেন, সিত্রাংয়ের কারণে সাটুরিয়ার কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে। শুরুতেই এক বিঘা ধান বুনতে কৃষকের খরচ হয় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। এক বিঘা ভুট্টা বুনতে খরচ হয় ৮ হাজার টাকা ও এক বিঘা সরিষা বুনতে খরচ হয় ৬ হাজার টাকা। একদিনে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় কুষকের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।