• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মানিকগঞ্জে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর, ২ কনস্টেবল প্রত্যাহার

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২২  

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় দুই কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান জানান, দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ থাকায় বৃহস্পতিবার রাতেই দুই পুলিশ সদস্যকে হরিরামপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এ সময় আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সব খরচ বহনের কথাও জানান এসপি।

প্রত্যাহার হওয়া দুই কনস্টেবল হলেন- হরিরামপুর থানার কনস্টেবল আব্দুল জব্বার ও আব্দুল লতিফ।

দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় দুইজনকে আসামি করে একটি মামলাও হয়েছে বলে হরিরামপুর থানার ওসি সৈয়দ মিজানুর ইসলাম জানান।

আসামিরা হলেন- নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা এলাকার শামসুদ্দিনের ছেলে মাসুম এবং হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে মামুন। এর মধ্যে মাসুম হরিরামপুর থানার পুলিশ সদস্যদের মেসের বাজার-সদাই করার দায়িত্বরত। 

ওসি শুক্রবার বলেন, “দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় পুলিশ সুপার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। দুই পুলিশ সদস্যকে রাতেই থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।“

এ ছাড়া মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টাও চলছে বলে জানান ওসি। 

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের আন্ধারমানিক পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থান করছিলেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আন্ধারমানিক গ্রামের প্রবাসী আক্কাস আলীর ছেলে ফয়সাল আহমেদ (২৪) এবং সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী পিয়াজচর গ্রামের নৈমদ্দিনের ছেলে নিজাম উদ্দিন (২৫)।

তাদেরকে গাঁজা দিয়ে পুলিশের সহায়তায় আটকের চেষ্টা করেন আসামি মাসুম এবং মামুন। প্রতিবাদের মুখে ব্যর্থ হয়ে দুই শিক্ষার্থীকে তারা মারধর করেন। একপর্যায়ে তারা ফোন করে পুলিশের দুই সদস্যকে সেখানে নিয়ে আসেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ সদস্য জব্বার শিক্ষার্থী নিজাম উদ্দিনকে কিলঘুষি ও লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেন এবং পাশের সবজি ক্ষেত থেকে বাঁশ এনে বেধড়ক মারধর করেন। এ ছাড়া কনস্টেবল লতিফ শিক্ষার্থী ফয়সালকে মারধর করেন।