• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সিংগাইরে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা অব্যাহত

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

থানা পুলিশ বলছেন ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধের দায়িত্ব উপজেলা প্রশাসনের। তবে লিখিত অভিযোগ অথবা মামলা না করলে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব না। অপরদিকে, উপজেলা প্রশাসন বলছেন-মাটি কাটা বন্ধে নজরদারী রয়েছে, তবে রাতের আঁধারে মাটি কাটলে অভিযান চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। এরকম পরস্পর বিরোধী ও দায়সাড়া গোছের বক্তব্যে মাটি ব্যবসায়ীরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। এ নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

 

 


সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, উপজেলার চারিগ্রাম চকে গত ১ মাস ধরে দিন-রাত মাটি কাটছে স্থানীয় ইস্রাফিল, খোরশেদ, পাপুল, রিয়াজুল, নান্টু ও ফিরোজের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফ্রেন্ডস এন্টারপ্রাইজ। তাদের এ মাটি কাটা নিয়ে দৈনিক ফুলকিসহ একাধিক জাতীয় দৈনিকে ফলাও করে স্বচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাটি কাটা বন্ধ করে দেয়া হয়। মাটি ব্যবসায়ীরা বেছে নেয় নয়া কৌশল। দিনের পরিবর্তে রাতভর চলে তাদের মাটি কাটার মহোৎসব। ভোর হলেই মাটি কাটার যন্ত্রটিও সরিয়ে রাখা হয় অন্যত্র।

 

 

এভাবেই চলছে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার কর্মযজ্ঞ। যেন দেখার কেউ নেই। এভাবে চলতে থাকলে ফসলি জমি হ্রাস পেয়ে খাদ্য উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তবে মাটি ব্যবসায়িরা বলছেন, পত্রিকায় লেখালেখি করে তাদের এ মাটি কাটা বন্ধ করা যাবে না। রিপোর্ট লেখা বন্ধ রেখে সাংবাদিকদের সাক্ষাতে কথা বলার অনুরোধ জানান তারা।

এদিকে, জামশা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী কামরুজ্জামানের ভাই মোতালেব হোসেন, বলধারার আত্রাইল চকে সাবেক মেম্বার ফরহাদ হোসেন, চান্দহর চকে আব্দুল মালেক, বায়রা ইউনিয়নের শিবপুর চকে মো. সেলিম হোসেনের মতো অনেকেই ফসলি জমি থেকে দেদারসে মাটি কেটে সাবাড় করছে। এ অবৈধ মাটি কাটা বন্ধে সিংগাইরবাসী সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।