• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মানিকগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার ঈর্ষণীয় সাফল্য

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

এগারোটি এ প্লাস ও একচল্লিশটি এ গ্রেডসহ ২০২২ সালের আলিম পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মানিকগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মাদরাসাটি জেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছে।

মাদরাসার ৭০ বছরের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আলেম তৈরির পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষায়ও ঈর্ষণীয় সফলতা অর্জন করেছে।

মানিকগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আতিকুর রহমান বলেন, আলিম পরীক্ষা ২০২২ সালের শিক্ষার্থীদের এ সাফল্য শিক্ষকদের পরিকল্পনা মাফিক পাঠদান এবং শিক্ষার্থীদের নিরলস পরিশ্রমের ফসল। তিনি মাদরাসার এ সফলতার জন্য মাদরাসার গভর্নিং বডির সদস্যবৃন্দ, অভিভাবক, শিক্ষকমণ্ডলী ও শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।

অধ্যক্ষ আরও বলেন, আমাদের মাদরাসায় আতফাল (শিশু) শ্রেণি থেকে কামিল পর্যন্ত পাঠ পরিকল্পনা মাফিক পাঠদান করানো হয়। সকল শ্রেণিতে কুরআন ও আরবি ভাষার জন্য রয়েছে বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা। বিশেষ করে ইবতেদায়ি শ্রেণিসমূহে নূরানী পদ্ধতিতে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। মাদরাসায় হিফজ বিভাগ ও মনোরম পরিবশে আবাসিক ব্যবস্থা রয়েছে।  

শিক্ষার্থীদের ডায়েরির মাধ্যমে সকল (ক্লাস ও আমল) কার্যক্রম তদারিক করা হয়। মাদরাসাটিতে ক্লাসের পড়া ক্লাসেই সম্পন্ন করে দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। যুগোপযোগী ও আধুনিক কৌশলের কারণে মাদরাসার শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

দুটি ক্যাম্পাসে মাদরাসার শ্রেনি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। টাউন ক্যাম্পাসে শিশু শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত এবং হিজুলী ক্যাম্পাসে দাখিল ৯ম শ্রেণি থেকে কামিল পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ মাদরাসায় আধুনিক যন্ত্রপাতিতে সম্বৃদ্ধ বিজ্ঞানাগার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব রয়েছে। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ মাদরাসার সার্বিক কার্যক্রমে সন্তষ্ট জানিয়ে মাদরাসার জন্য সকলের দো’আ কামনা করেন অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আতিকুর রহমান।

এপ্লাস প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন (বিজ্ঞান বিভাগ) তাহমিনা আক্তার নুরীন, মাহমুদা সুলতানা, জান্নাতুল লুবা, মো. রাশেদুর রহমান, মো. শামছুল আলম। (মানবিক বিভাগ) উম্মে হাবিবা, সামিয়া আক্তার, সুরাইয়া, সাদিয়া সুলতানা রিকা, মো. রাসেল হোসেন, মো. কাওসার আহমাদ।