• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল বিএনপি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবির পর নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে বর্তমান সরকারের অধীনে সকল ধরণের নির্বাচন থেকেবিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। যদিও নির্বাচন কারচুপির অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে কোনো যৌক্তিক তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি দলটির নীতিনির্ধারকরা।

নির্বাচন বর্জনের ধারাবাহিকতায় বিএনপির পক্ষ থেকে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও তা মানতে নারাজ দলটির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।  তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতে জাতীয় নির্বাচনে শোচনীয় হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য হলেও স্থানীয় নির্বাচন সমূহে অংশগ্রহণ করা উচিত। এভাবে একের পর এক নির্বাচন বর্জন করতে থাকলে শীঘ্রই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে বিএনপি। তাছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির নেতারা দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আসছেন, এখন নির্বাচন বর্জন করলে নিজস্ব নেতাকর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারাবেনতারা। ফলশ্রুতিতে দেশের অধিকাংশ  উপজেলাতেই দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সুযোগ না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বিএনপির উপজেলা পর্যায়ের নেতারা। তৃণমূলের নেতারা বলছেন, স্থানীয় নির্বাচনে জয় ঘরে তোলার জন্য পূর্ণ প্রস্তুতিই তাদের রয়েছে।

জাতীয় নির্বাচন শেষে নির্বাচন কমিশন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তাদের প্রস্তুতির কথা জানান দেয়ার পর থেকে তৃণমূলের বিএনপি'তে শুরু হয়েছে এমনই উৎসাহের জোয়ার। এক্ষেত্রে তারা সর্বশেষ সংসদ নির্বাচন নয়, হিসাব কষছেন, ৫ বছর আগের উপজেলা নির্বাচনে তাদের ভোটের প্রাপ্তিকে। ময়নমনসিংহ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল ইসলাম মো ওয়ালিদ বলেন, 'আমি গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী থেকে ৫০ হাজার ভোট বেশি পেয়েছিলাম। দল নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত না নিলেও আমি অবশ্যই নির্বাচন করবো।' বিএনপির বেশ কয়েকজন তৃণমূলের নেতা বলেন, 'আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত। দল নির্বাচন বর্জন করেলও আমরা অংশগ্রহণ করবো।'

এদিকে তৃণমূল নেতাকর্মীদের উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে এমন সিদ্ধান্তের পর থেকে তাদের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও কোনো লাভ হয়নি। এমনকি অনেককে দল থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া স্বত্বেও কোনো প্রতিকার মেলেনি। উল্টো তৃণমূলের পক্ষ থেকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে দলকে বাঁচানোর স্বার্থে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশগ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।