• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

হালদায় তৃতীয় দফা ডিম ছেড়েছে মা মাছ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২২  

দেশের একমাত্র  প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে রুই জাতীয় মা মাছ। বৃহস্পতিবার রাতে এসব ডিম ছাড়ে মা মাছ। বজ্রসহ বৃষ্টির কারণে মা মাছ পুরোদমে ডিম ছাড়া শুরু করেছে বলেছেন সংশ্লিষ্টরা।

ডিম সংগ্রহকারীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে এবং শুক্রবার ভোরে ডিম ছেড়েছে মা মাছ।

হালদা নদীর বেশকিছু স্থানে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউশের নমুনা পাওয়া যাচ্ছে।  
এর মধ্যে হাটহাজারীর রামদাস মুন্সিরহাট, মাছুয়াঘোনা, নাপিতের ঘাট, আমতুয়া, নয়াহাট, রাউজানের আজিমের ঘাট, খলিফারঘোনা এলাকায় এসব ডিম পাওয়া গেছে। জোয়ার ও ভাটার সময় বেশি ডিম ছাড়ে মা মাছ।  

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিদুল আলম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে এবং শুক্রবার ভোরে ডিম ছেড়েছে মা মাছ।  এ সময় নৌকা নিয়ে ডিম সংগ্রহকারীরা দলবেঁধে  ডিম সংগ্রহ করেছেন।  

হালদা গবেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়াবলেন, রাতে যারা নদীতে ছিলেন তারা ভালো ডিম পেয়েছেন। তবে সংগ্রহকারী ছিলেন সংখ্যায় কম। সকালে প্রায় ২০০ নৌকা নিয়ে ৫০০ লোক ডিম সংগ্রহ শুরু করেন। রাতে জোয়ারের সময় ডিমের পরিমাণ বেশি থাকলেও এখন ভাটায় তেমন ডিম মিলছে না।

তবে এই দফায় সব মিলিয়ে আগের দুবারের চেয়ে বেশি ডিম মিলতে পারে আশা প্রকাশ করে মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, এখন মৌসুমের শেষ সময়। ভারি বৃষ্টি হলেই মা মাছ ডিম ছেড়ে দেবে। এবারের পাঁচটি জো শেষ হলো। আগামী ২৩ থেকে ৩০ জুন শেষ জো। তখনও ডিম ছাড়তে পারে।

হালদা যেখানে কর্ণফুলীর সঙ্গে মিশেছে, সেই কালুরঘাট সেতুর কাছের অংশ থেকে উজানে মদুনাঘাট হয়ে নাজিরহাট পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার অংশে নদীর দুই তীরে হাটহাজারী, রাউজান ও ফটিকছড়ি এই তিন উপজেলা। মদুনাঘাট থেকে সমিতির হাট পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশে হাটাহাজারী ও রাউজান উপজেলা সংলগ্ন অংশেই মেলে নিষিক্ত ডিম।

ডিম ছাড়ার অল্প সময়ের মধ্যেই তা সংগ্রহ করতে হয়। তাই মা মাছের ডিম ছাড়ার অপেক্ষায় নদীতে নৌকা নিয়ে অবস্থান নেন ডিম সংগ্রহকারীরা।

এবার ভারী বর্ষন না হওয়ায় হালদায় তুলনামূলভাবে কম ডিম ছেড়েছে মা মাছ। তবে ডিম কম পেলেও রেণুর ভালো দাম ভাল পাবে আশা ডিম সংগ্রহকারীদের। পর্যাপ্ত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল ছাড়াই ১৬ মে দুই দফায় ডিম ছেড়েছিল মা মাছ। জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাবে প্রথম দুই দফায় ৩২০০ কেজির মত ডিম মিলেছিল।