• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

টঙ্গীর কাদেরিয়ায় টেন্ডার শিডিউল জমাদানকালে সন্ত্রাসীদের হামলা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

গাজীপুরের টঙ্গীর কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড এর ভবনসহ মেশিনপত্র ও পরিত্যক্ত মালামাল সংক্রান্ত টেন্ডার জমাদানের সময় স্থানীয় চিহ্নিত ও নামধারী সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছে সাধারণ ব্যবসায়ীরা। এসময় সন্ত্রাসীরা পুলিশের সামনেই স্থানীয় ৩ সাংবাদিকসহ ৫ জনকে পিটিয়ে আহতসহ গাড়ী ভাংচুর করেছে।

সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার ব্যবসায়ীরা জানান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস লিঃ এর আওতাধীন টঙ্গীর কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড কারখানার পরিত্যক্ত মালামাল ও ভবন অপসারণের টেন্ডার শিডিউল জমা দিতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে পড়েন ব্যবসায়ীরা।

মেসার্স নূর টেডার্সের পক্ষে শিডিউল জমা দিতে আসা মো. ইউনুছ মিয়া জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে শিডিউল জমা দিতে কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিলের মূলফটকে গেলে আমাদের গাড়ি দেখেই একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ঝুটভর্তি একটি ভ্যানগাড়ি মূলফটকে রেখে পথরোধ করে। পরে আমরা কারখানায় ঢুকতে গেলে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমাদের বাধা প্রদান করে এবং কারখানায় রক্ষিত টেন্ডার বক্স ঘিরে রাখে। সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে শিডিউল জমা না দিতে হুমকি প্রদান করে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা আমাদের মারধর করে ধারালো ছোরা দিয়ে গাড়িতে কোপ দেয় এবং ভাংচুর চালায়। সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের উপরও চড়াও হয় এবং এলোপাথারি মারধর করে। একপর্যায়ে সাইদুল মৃধা ও রাজুর নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ক্যামেরা, মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।

এদিকে কারখানার ভেতরে দায়িত্বরত টঙ্গী পশ্চিম থানার পুলিশ সদস্যদের সাহায্য চাইলে তারা রহস্যজনক কারণে নিরব ভূমিকা পালন করেন। পরে কাদেরিয়া মিলে শিডিউল জমা দিতে ব্যর্থ হয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রক্ষিত বক্সে শিডিউল জমা দিতে গেলে সেখানেও একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে বাধা প্রদান করে।

এবিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশের ওসি (অপারেশন) সহিদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কাদেরিয়া কারখানায় টেন্ডার জমাদানকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের হামলার সময় আমি ছিলাম না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। তবে হামলার শিকার টেন্ডার জমাদানকারীরা টেন্ডার জমা দিতে পারেনি এটা তাদের ব্যর্থতা। ঘটনার সময় সেখানে এএসআই শাহেদ ও মনজু দায়িত্বে ছিলেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের টেন্ডার শিডিউল দূর্বৃত্তরা সিন্ডিকেট করে ভাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এতে করে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাবে।

অপরদিকে কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, সকাল থেকেই শতশত ছেলেরা কারখানার মূলফটকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। তারা তাদের নিজস্ব লোক ছাড়া অন্য কাউকেই শিডিউল জমা দিতে দেয়নি, যা খুবই দু:খজনক। আমি ছিলাম নিরুপায়। তবে আমার এখানে রক্ষিত বক্সে ৭টি শিডিউল জমা পড়েছে।