হতদরিদ্রদের প্রতিবছর ৬৪ হাজার বাড়ী করে দেবে সরকার
মানিকগঞ্জ বার্তা
প্রকাশিত: ২ মার্চ ২০১৯
দারিদ্র্য কমছে। কমছে হতদরিদ্রের সংখ্যা। বিশ্বব্যাংক বলেছে, দেশে হতদরিদ্রের সংখ্যা নেমে এসেছে ১২ দশমিক নয় শতাংশে। ২০১০ সালে দেশে হতদরিদ্রের সংখ্যা ছিলো ১৮ দশমিক এক শূন্য শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষায় লিঙ্গ সমতা ও নগদ অর্থ স্থানান্তরে উদ্ভাবনী পদ্ধতি প্রয়োগ দারিদ্র্যের হার কমানো এবং নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নের ক্ষেত্রেও ভূমিকা রেখেছে। চরম দারিদ্র্য কবলিত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে বাংলাদেশ এক সময় সারাবিশ্বে পরিচিত ছিলো। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই। দারিদ্র্য কমছে, কমছে হতদরিদ্রের সংখ্যা। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে অতি দ্রুত দারিদ্র্যের হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা।
আর এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। প্রতিবছর ৬৪ হাজার হতদরিদ্রদের ঘর দেবে সরকার। সূত্র জানায়, অতীতের গতানুগতিক সব নিয়ম পরিবর্তন করে এবার টেস্ট রিলিফ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) বরাদ্দের খাদ্যশস্য ও টাকা দিয়ে গ্রামের হতদরিদ্রদের জন্য ঘর নির্মাণ করবে সরকার। প্রতিটি ঘর তৈরিতে ব্যয় হবে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ১৯৮৮ সালের বন্যায় যে পর্যন্ত পানি উঠেছিল, তা ভিত্তি ধরে ওই পরিমাণ উঁচু করে ভিটাগুলো তৈরি করা হবে। ঘরের ভিটা হবে পাকা।
যাদের ৪০০ বর্গফুট জমি আছে, তারাই এ ঘর পাবেন। জমির সংস্থান সাপেক্ষে হিজড়া, বেদে, বাউলসহ প্রভৃতি সম্প্রদায়কে এ সুবিধার আওতায় আনা হবে। অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, নদী ভাঙনসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে গৃহহীন পরিবার, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত মহিলা, প্রতিবন্ধী ও পরিবারে উপার্জনক্ষম সদস্য নেই- এমন পরিবার অগ্রাধিকার পাবে। হতদরিদ্র যাচাইয়ে উপজেলা কমিটি থাকছে। কমিটির প্রধান হচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
টিন দেওয়া হবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের রিলিফ ফান্ড থেকে। দেশের আটটি বিভাগে জুনের মধ্যে ৩২ হাজার ঘর নির্মাণ করা হবে। ১ বছরে ৬৪ হাজার ঘর তৈরি করা হবে। ৫ বছরে ৩ লাখ ২০ হাজার ঘর। গৃহনির্মাণ কার্যক্রম তদারকির জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আটজন অতিরিক্ত সচিবকে আট বিভাগের কার্যক্রম তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। ওই ঘোষণা সফল বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আমারা গৃহহীনদের ঘর করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যে টাকায় দরিদ্র মানুষের জন্য ঘর নির্মাণের কাজে হাত দিয়েছি অতীতে এসব অর্থ স্থানীয় সংসদ সদস্যদের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হতো। তারা উন্নয়নমূলক কাজে তা ব্যয় করতেন।’
প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, দেশে একটি পরিবারও গৃহহীন থাকবে না। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ওই কাজটি বাস্তবে করে দেখাতে চায়। প্রতিবছর ৬৪ হাজার ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে। ৫ বছর পর দেখা যাবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা শতভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে।
এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্য ও উদ্দেশ হচ্ছে, গৃহহীন পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ করা, দারিদ্র্য বিমোচনে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করা। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা, নারী শিশু ও প্রতিবন্ধীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা,গ্রামে শহরের সুবিধা সম্প্রসারণ এবং দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করা।
কমিটির কাজ হচ্ছে ইউনিয়নভিত্তিক উপকারভোগীদের তালিকা তৈরি, অনুমোদন এবং গৃহনির্মাণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন। উপজেলা কমিটি উপকারভোগীদের তালিকা চূড়ান্ত করে অনুমোদন করে, তা জেলা কমিটিতে পাঠাবে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত নকশার আলোকে উন্নত মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে মানসম্মত ঘর তৈরি করা হবে। কার্যক্রম বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতি মাসে জেলা প্রশাসন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত সব রেকর্ডপত্র, নথি, তথ্যাদি সংরক্ষণ করা হবে। এ কর্মসূচি টিআর ও কাবিটা নীতিমালার আলোকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। উপজেলা কমিটি প্রতি মাসে একটি করে সভা করবে।
এছাড়া কর্মসূচি বাস্তবায়নে কোনো ত্রুটি থাকলে প্রতিবন্ধকতা থাকলে মন্ত্রণালয়কে জানানো এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান করা। এছাড়া জেলা কমিটির সরেজমিন তদন্তকালে কোনো অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে দায়ী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবে। জেলা কমিটি প্রতি দুই মাস অন্তর একটি করে সভা করবে। এছাড়া বিভাগীয় পর্যায়ে এ সংক্রান্ত কমিটি থাকবে। বিভাগীয় কমিটির প্রধান থাকবেন বিভাগীয় কমিশনার। বিভাগীয় কমিটি সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন সমন্বয় এবং বিভাগীয় কার্যক্রমে সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করবে। বিভাগীয় কমিটি প্রতি তিন মাস অন্তর একটি করে সভা করবে।
প্রকল্পটি দ্রুততার সাথে বাস্তবায়নের জন্য সরকার জোরেশোরে এগিয়ে যাচ্ছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করছে।
- ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা আজ
- নারীসহ দালাল চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
- সাভারের রেডিও কলোনি পর্যন্ত মেট্রোরেল সংযোগ সম্প্রসারণের দাবি
- ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনার পরিকল্পনা’
- ইসরায়েলের সঙ্গে সীমান্তে উত্তেজনা
- কমান্ডার আরাফাত র্যাবের নতুন মুখপাত্র
- আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮৮ বিজিপি-সেনাকে হস্তান্তর
- ৩ দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
- হিট স্ট্রোকে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
- কারাগারে অসুস্থ হয়ে হাজতির মৃত্যু
- স্ত্রীকে কু*পি*য়ে জ*খ*ম করল পাষণ্ড স্বামী
- গরমেও চলছে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা!
- দায়ীদের বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ
- দুই দিনে দুই মাদরাসাছাত্র নিখোঁজ
- খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত
- বুবলির নায়ক সিয়াম
- প্রাবোওকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করল ইন্দোনেশিয়া
- একই গাড়ির চাপায় চালক ও সহকারীর মৃত্যু
- কারাভোগ শেষে ১৭৩ বাংলাদেশি কক্সবাজারে
- প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকক পৌঁছেছেন
- নিহত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা
- তৈফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
- এখনো শেষ হয়নি তিন মামলার বিচার
- দেশে ফিরবেন সেই ২৩ নাবিক
- ইসরায়েলের ‘কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না’
- জিবুতিতে ফের অভিবাসীদের নৌকাডুবি
- যাত্রা শুরু হলো মারামারি দিয়ে
- বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে
- বুধবার গ্যাস থাকবে না ১২ ঘণ্টা
- স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেফতার
- আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮৮ বিজিপি-সেনাকে হস্তান্তর
- প্রাবোওকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করল ইন্দোনেশিয়া
- একই গাড়ির চাপায় চালক ও সহকারীর মৃত্যু
- তৈফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
- স্ত্রীকে কু*পি*য়ে জ*খ*ম করল পাষণ্ড স্বামী
- বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে
- কারাভোগ শেষে ১৭৩ বাংলাদেশি কক্সবাজারে
- স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেফতার
- প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকক পৌঁছেছেন
- বুধবার গ্যাস থাকবে না ১২ ঘণ্টা
- দেশে ফিরবেন সেই ২৩ নাবিক
- এখনো শেষ হয়নি তিন মামলার বিচার
- দুই দিনে দুই মাদরাসাছাত্র নিখোঁজ
- দায়ীদের বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ
- ইসরায়েলের ‘কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না’
- খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত
- জিবুতিতে ফের অভিবাসীদের নৌকাডুবি
- গরমেও চলছে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা!
- যাত্রা শুরু হলো মারামারি দিয়ে
- বুবলির নায়ক সিয়াম