• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আপোষহীনতার প্রসঙ্গে নড়বড়ে বিএনপির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় রাজনৈতিক বি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৩ মে ২০১৯  

নিউজ ডেস্ক : শপথ প্রত্যাখ্যান করে সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে একক সিদ্ধান্তে অনড় থাকতে পুনরায় ব্যর্থ হলো বিএনপি। রাজনৈতিক মারপ্যাঁচে পড়ে ক্ষমতাসীনদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে বিএনপি সংসদে যেতে বাধ্য হয়েছে বলেও নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সংসদে প্রবেশ করে বিএনপির রাজনীতি ক্ষমতাসীনদের তালু বন্দি হয়ে গেল বলেও অনেকে ঠাট্টা-মশকরা করছেন।

তবে যে চাপেই হোক, সংসদের পথে পা বাড়িয়ে বিএনপি রাজনৈতিক পরাধীনতা বরণ করলো, এমনটাই মনে করছেন একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক। শপথ গ্রহণ করে বিএনপি যেমন দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, ঠিক তেমনি বেগম জিয়ার আপোষহীনতাকেও বিতর্কিত করেছে। কোন কারণে বিএনপি তথা বেগম জিয়া-তারেক রহমান আপোষ করলেন সেটি নিয়েও চলছে নানা বিশ্লেষণ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সেই সাবেক অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, শপথে রাজি না হয়েও তো তারেক রহমানের উপায় ছিল না। শপথের বিপক্ষে গেলে বিদ্রোহের সম্ভাবনা ছিল, এছাড়া শপথ নিলে বেগম জিয়ার মুক্তির পথ প্রসারিত হতে পারে-সম্ভবত এসব চিন্তা করেই তারেক দল ও নেত্রীকে বাঁচাতে শপথে রাজি হন।

তিনি আরো বলেন, শপথে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলেন দলটির সক্রিয় নেতা-কর্মীরা। তারা আর দলের উপর পূর্ণ আস্থা রাখতে পারবেন না। তবে শপথ নেয়া হলেও তৃণমূলে কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। সুতরাং দলটির তৃণমূল বলতে কিছু আছে কিনা তা আপাতত বোঝা যাচ্ছে না। তবে যাই হোক বিএনপির রাজনৈতিক স্বাতন্ত্র্য নষ্ট হয়ে গেল এমন লুকোচুরির রাজনীতিতে, এতটুকুই বলব।

বিষয়টি ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে দলটির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, অনড় অবস্থানে থাকায় বেগম জিয়ার শুধু ক্ষতিই হয়েছে। মাঝখান থেকে দলে বিভক্তি ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে সাংগঠনিক দুর্বলতা স্পষ্ট হয়েছে। আসলে বৈশ্বিক রাজনীতির মারপ্যাঁচে পড়ে বিএনপিকে আপোষ করতে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, শপথ নিয়ে বড় ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে গেল বিএনপি। সংসদে পাত্তা না পেলে এবং শপথের পেছনের উদ্দেশ্য পূরণ না হলে ভবিষ্যতে বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানোটা কঠিন হয়ে পড়বে।