• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রোগী পরিবহনে পল্লী অ্যাম্বুলেন্স যুগান্তকারী পদক্ষেপ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২০  

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে রোগী পরিবহনে পল্লী অ্যাম্বুলেন্স সেবা যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।

তিনি বলেছেন, ‘এটি গ্রামাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পল্লী অঞ্চলের লোকজন এই অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে খুব সহজেই কমিউনিটি ক্লিনিক, উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে অত্যন্ত স্বল্পখরচে রোগী পরিবহন সুবিধা পাবে। পল্লী জনগণের স্বার্থে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’


রোববার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনলাইন মাধ্যমে উপস্থিত থেকে ৭টি উপজেলায় ৭টি পল্লী অ্যাম্বুলেন্স পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সমিতির সদস্যদের মাঝে বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক পল্লী এলাকায় স্বল্পমূল্যে দরিদ্র রোগীদের পরিবহন সেবা প্রদানের জন্য সমিতির সদস্যদের অত্যন্ত সুবিধাজনক কিস্তিতে পল্লী অ্যাম্বুলেন্স ক্রয়ের ঋণ প্রদানের মাধ্যমে প্রথমে ৪০টি পল্লী অ্যাম্বুলেন্স বিতরণ করে পাইলটিং করা হবে। প্রথম পর্যায়ে যশোর জেলার মণিরামপুর, শার্শা, চৌগাছা, কুমিল্লা জেলার লালমাই, নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জ এবং মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুরসহ মোট ৭টি উপজেলায় ৭টি পল্লী অ্যাম্বুলেন্স বিতরণের পাইলটিং কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর হোসেন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) মো. রাশিদুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘একটি জাতি যদি স্বাধীন হয় তাহলে সেই জাতির মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি প্রকাশ করার সুযোগ পায়, পরাধীন রাষ্ট্রে তা কোনোদিন সম্ভব হয় না। আজ বাংলাদেশ স্বাধীন বলেই বিভিন্ন উদ্ভাবনী কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের জনগণের জন্য বিভিন্ন সেবা সহজ করা সম্ভব হচ্ছে। জাতির পিতার আদর্শ ও প্রধানমন্ত্রীর চিন্তাপ্রসূত বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে গ্রাম পর্যায়ে আমরা কাজ করছি। প্রতিটি ইউনিয়নে ৩টি করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। এর দ্বারা গ্রামের মানুষ সহজভাবে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে ২৭ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।’


তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ১৩ হাজার ৮৮২টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সারা দেশে গ্রাম পর্যায়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হচ্ছে। মানসম্মত স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং সবার জন্য স্বাস্থ্য ও গুণগত পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করে একটি স্বাস্থ্য সচেতন, সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।’