• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মানিকগঞ্জে ভোগান্তিতে ডেঙ্গু রোগীরা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০১৯  

মানিকগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে শনিবার ( ২৭ জুলাই) পর্যন্ত জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১৪ জন অন্যদিকে রক্ত পরীক্ষার কিছু উপকরণ না থাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে বেশ বেকায়দায় আছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ কারণে রোগীও পড়েছে ভোগান্তিতে

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘গত বছরও এ হাসপাতালে কোনও ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়নি এ কারণে ডেঙ্গু রোগের এনএসওয়ান রক্ত পরীক্ষার কিট ও রিএজেন্টের প্রয়োজন পড়েনি এখন হঠাৎ করেই ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আমরা টেনশনে পরেছি চলতি অর্থ বছরের বাজেটও শেষ এখন ইচ্ছে করলেই এনএসওয়ান রক্ত পরীক্ষার কিট ও রিএজেন্ট কেনা যাচ্ছে না তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি

তিনি বলেন, ‘জনস্বার্থে কিট ও রিএজেন্ট ক্রয়ের জন্য জেলা পরিষদ ও মানিকগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষের সহায়তাও চাওয়া হয়েছে তবে এখনো তাদের কাছ থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি

এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান বলেন, ‘গত আট দিনে ১৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে এরমধ্যে একজনকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে ডেঙ্গু নিশ্চিত হওয়ার জন্য রক্তের তিনটি পরীক্ষার প্রয়োজন হয় এর মধ্যে সিবিসি ও প্লাটিলেট পরীক্ষার ব্যবস্থা হাসপাতালে আছে কিন্তু কিট এবং রিএজেন্ট সরবরাহ না থাকার কারণে এনএসওয়ান পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না রোগীরা বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে এ পরীক্ষাটি করাচ্ছেন

ওই হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা হলেন, যুবায়ের হোসেন (১১) মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব শানবান্ধা গ্রামের মো. ইয়াসিনের ছেলে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার পশ্চিম সেওতার জাকির হোসেনের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে জেবা (১৭), সদর উপজেলার পাছ বাড়ইল গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে সাদিয়া আফরিন, সাটুরিয়া উপজেলার গোলড়া গ্রামের মামুন মিয়ার স্ত্রী রাশেদা (২৮), সদর উপজেলার বংখুরি গ্রামের সাইদুর রহমানের স্ত্রী মারিন আহমেদ (১৮), সদর উপজেলার জুকুরিয়া গ্রামের সিরাজ বেপারির ছেলে সজিব (২০), সাটুরিয়া উপজেলা রাধানগর গ্রামের বিনয় চক্রবর্তীর ছেলে টুটুল চক্রবর্তী, ঘিওর উপজেলার মহিউদ্দিন (১৮), সদর উপজেলার আকমিন (২০), দৌলতপুর উপজেলার সাইফুল ইসলাম (২০), সাটুরিয়া উপজেলার আল-আমিন (১৫) ও সদর উপজেলার মুন্না (২০)

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, ‘জেলা হাসপাতাল ছাড়া কোনও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগীর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি সীমিত সাধ্যের মধ্যে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তবে, সরকারি হাসপাতালে কিট এবং রিএজেন্ট না থাকায় এনএসওয়ান পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না কিট ও রিএজেন্ট না থাকার কথা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে টেন্ডার আহ্বানের মাধ্যমে কিট ও রিএজেন্ট কেনা হবে