• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

টাঙ্গাইল ৭: প্রায় দুই যুগ ধরে তারা প্রতিদ্বন্দ্বী

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮  

টাঙ্গাইল ৭ (মির্জাপুর) নির্বাচনী এলাকায় গত দুই যুগ ধরে পাঁচটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী অপরিবর্তিত রয়েছে মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান সাংসদ মো. একাব্বর হোসেন ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে নির্বাচনে লড়ে যাচ্ছেন

১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের বর্জন করা একতরফা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী প্রথমবারের মতো এ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন একই বছর ১২ জুন সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মহসীন হল ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস সাঈদ সোহরাবকে দেওয়া হলেও পরে তাকে বাদ দিয়ে আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীকেই চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয় তিনিই বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. একাব্বর হোসেনকে প্রায় ৬ হাজার ভোটে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন তারপর থেকেই দলে তার একক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি

সম্প্রতি তিনি দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পেয়ে দলের নীতি নির্ধারকের পর্যায় পৌঁছে গেছেন আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী ২০০১ সালে প্রায় ২ হাজার ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে একাব্বর হোসেনের কাছে প্রায় ৪২ হাজার ভোটে পরাজিত হন ২০১৪ সালের নির্বাচনেও তিনি বিএনপির মনোনিত প্রার্থী ছিলেন বিএনপি অবশ্য ওই নির্বাচন বর্জন করে এ কারণে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. একাব্বর হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃতীয়বার এমপি নির্বাচিত হন

এদিকে ২০০১ সালে সারা দেশে আওয়ামী লীগের ভরাডুবির সময় একাব্বর হোসেন এমপি নির্বাচিত হওয়ায় দলে তার ভাবমূর্তি উজ্জল হয়ে উঠে

প্রায় দুই যুগ ধরে পাঁচটি সংসদ নির্বাচনে একাব্বর হোসেন তিনবার এবং আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী দুইবার নির্বাচিত হয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরাবরের মতই এই দুজনই মনোনয়ন নিশ্চিত করে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন এই নির্বাচনের মাধ্যমেই একাব্বর হোসেন টানা চারবার এবং আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী তৃতীয় বারের মতো এমপি নির্বাচিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কার স্বপ্ন পূরণ হয় সেই আলোচনাই এখন মির্জাপুরের সর্বত্র