• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অগ্রযাত্রার তৃতীয় বছরে ‘গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ’

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১  

অগ্রযাত্রার তৃতীয় বছরে পৌঁছেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পুলিশের সদর দপ্তরে কেক কেটে দিবসটি উদ্বোধন করেন পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। একই সময়ে জিএমপির সদর দপ্তরে কেক কেটে দিনটি উদযাপন করেন পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির।  

জিএমপির সদর দপ্তরের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. বরকতুল্লাহ খান, উপকমিশনার (সদর ও অর্থ) তানভীর মমতাজ, গাজীপুরের পুলিশ সুপার এস. এম. শফিউল্লাহ, উপকমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) ইলতুৎ মিশ, উপকমিশনার অপরাধ (উত্তর) জাকির হাসান, উপকমিশনার (ডিবি) নূরে আলম, উপকমিশনার (এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) মিজানুর রহমান, উপকমিশনার (সিটিএসবি) হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

জিএমপির পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির জানান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবার সহযোগিতায় মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাচ্ছে। নানা প্রতিকুলতা কিংবা চ্যালেঞ্জকে জয় করার মানসে এ ইউনিটের সব সদস্য একটি পরিবার হয়ে কাজ করছে। মহানগর এলাকায় ৬০টি বিটের মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জনগণের সহায়তায় নিবিড়ভাবে কাজ করা হচ্ছে।


উপকমিশনার অপরাধ (উত্তর) জাকির হাসান জানান, জিএমপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত জিএমপিতে রুজুকৃত নয় হাজার ৬৬০টি মামলার বিপরীতে জেলা পুলিশ হতে প্রাপ্ত মামলাসহ ১০ হাজার তিনটি মামলা ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে। এরমধ্যে ডাকাতি মামলা-৩৩ টি, খুন মামলা ১৯৮টি, দস্যুতা মামলা- ৯১টি, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে-এক হাজার ১৯৫ টি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে- চার হাজার ৭০০টি এবং অস্ত্র আইনে- ১১৯টি মামলা রুজু হয়েছে। তামিলকৃত সাধারণ ওয়ারেন্ট ২২ হাজার ৮৪০টি এবং সাজা ওয়ারেন্ট এক হাজার ২৮৪টি।

জাকির হাসান আরও জানান, মাদক নিয়ন্ত্রণেও জিএমপির রয়েছে অভূতপূর্ব সাফল্য। আজ পর্যন্ত রুজুকৃত চার হাজার ৫৪৮টি মাদক মামলায় মোট গ্রেপ্তারকৃত আসামির সংখ্যা সাত হাজার ২৮৩ জন। উদ্ধারকৃত এসব মাদকের মধ্যে পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ পিস ইয়াবা, ৩০৩১ দশমিক ৮৬৮ কেজি গাঁজা, প্রায় ৮ দশমিক ৯২১ কেজি হেরোইন, ২৮ হাজার ৫৮ বোতল ফেন্সিডিল, ১১ হাজার ৩৪১ দশমিক ৯১ লিটার দেশি- বিদেশি মদ, পাঁচ হাজার ১৬১ ক্যান বিয়ার এবং চার হাজার ৯০৯ পিস প্যাথেড্রিন ইনজেকশন রয়েছে। উদ্ধারকৃত এসব মাদকের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩৬ কোটি ৪২ লাখ ৫৪ হাজার ৭০০ টাকা। এ ছাড়াও মহানগরে কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে চারটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি এবং বালক বালিকাদের পাঁচটি নিরাপদ সংশোধনাগারের নিবাসীসহ প্রায় দুই হাজার কারখানার শ্রমিক মালিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দানে ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে জিএমপি।