• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আগুনের লেলিহান শিখায় আহত হন মুক্তা বানু

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২১  

তাজরিন ফ্যাশনের মেশিন অপারেটর ছিলেন মুক্তা বানু (৪০)। ২০১২ সালে এ পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের সময় তিনি ৪ তলায় কাজ করছিলেন। হঠাৎ চারপাশে দাউদাউ করে জ্বলে উঠে আগুন।আগুনের লেলিহান শিখায় আহত হন মুক্তা বানু। যেন মৃত্যু নিশ্চিত। এমন সময় পাশের জানালা ভেঙে একটি বাঁশ বেয়ে নিচে নেমে আসছিল শ্রমিকেরা। মুক্তা বানুও এভাবে বাঁশ বেয়ে বেঁচে যান ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড থেকে। কিন্তু, এরই মধ্যে নিভে যায় শতাধিক প্রাণ।

এভাবেই সেদিনের তাজরিন ফ্যাশনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের বর্ণনা করলেন মুক্তা বানু। তিনি আরও জানালেন, বিগত ৯ বছরে চিকিৎসার জন্যও কোন সহায়তা পাননি তিনি। অতি কষ্টে অসুস্থ শরীর নিয়ে দিনাতিপাত করছেন মুক্তার মত শত শত অসুস্থ শ্রমিকেরা। যাদের দেখার কেউ নেই।

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার নিশ্চিন্তপুরে তাজরিন ফ্যাশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান ১১৭ জন পোশাক শ্রমিক। আহত হন প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক।

ঘটনার ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপুরণ, আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যাপারে কোন প্রতিকার হয়নি বলে দাবি শ্রমিকদের।

এ দিনটিতে নিহতদের স্মরণে বুধবার  নিশ্চিন্তপুরের তাজরিন ফ্যাশনের সামনে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এ সময় তাজরিন ফ্যাশনের অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবার ও আহত শ্রমিকদের সমবেত হতে দেখা যায়। এ সময় অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও নিহত শ্রমিকদের স্বজনরা জানান, আজ অবধি অসুস্থ শ্রমিকদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়নি।

অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে অসুস্থতায় অন্য কোনও কাজও করা সম্ভব হয় না। তাই অতি শিগগিরই আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে বলে তারা দাবি করেন।

এ সময় তাজরিন ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেনের ফাঁসির দাবিতে কাল পতাকা হাতে বিক্ষোভ করে উপস্থিত শ্রমিকেরা।