• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ইসিতে অভিযোগ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২২  

মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেছেন একজন প্রার্থী। ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপকৌশলে অর্থের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করে তার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী গোলাম মহীউদ্দিনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ দেন মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী কে এম বজলুল হক খান। মানিকগঞ্জ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে এ সংক্রান্ত মামলাও করেছেন তিনি। নির্বাচন কমিশনে দেওয়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আমি মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতায় অংশগ্রহণকারী, প্রতীক চশমা। গত ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আমার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম মহীউদ্দিনকে (প্রতীক আনারস) অবৈধভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

তিনি লিখেছেন, আমি ১৭ সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন ক্রয় করে যথাযথভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে জমা দেই। মনোনয়ন বাছাইয়ের শেষ দিন ছিল ১৮ অক্টোবর। এর মধ্যে আমি জেলা নির্বাচন অফিসার কর্তৃক জানতে পারি আমার প্রতিপক্ষ আমার মনোনয়ন বাতিলের চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে আমি জেলা নির্বাচন অফিসারকে আমার মনোনয়ন বাতিল না করার জন্য অনুরোধ করি এবং এ ব্যাপারে তার সঙ্গে আমার কিছু কথাবার্তা হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর নির্বাচন অফিসার কর্তৃক আমার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

১৭ অক্টোবর নির্বাচনের দিন ঘিওর উপজেলা ভোটকেন্দ্রের সিসি ক্যামেরা বন্ধ রেখে ভোটগ্রহণ করা হয়। এ ব্যাপারে প্রিজাইডিং অফিসার ও রিটার্নিং অফিসারকে অবহিত করা হয়। দৌলতপুর উপজেলা ভোটকেন্দ্রে আমার প্রতিপক্ষের লোক কর্তৃক ভোটারদের জোর করে ভয় দেখিয়ে সারিবদ্ধভাবে ভোট দিতে বাধ্য করে।

লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, শিবালয় উপজেলা ভোটকেন্দ্রের সিসি ক্যামেরা ১২টার পর থেকে বন্ধ রেখে একজন ভোটারের ভোট প্রদানকে কেন্দ্র করে ভোটার ও প্রিজাইডিং অফিসারসহ আরও কয়েকজন অফিসারকে রিটানিং অফিসার উনার কার্যালয়ে (ডিসি) অফিসে ডেকে আনে। বিকেল ৪টার সময় ওই কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এই কেন্দ্রে আমার ভোট প্রতিপক্ষের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।

হরিরামপুর উপজেলা ভোটকেন্দ্রে দুপুর দেড়টা থেকে বিদ্যুৎ ও সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং অন্য ভোটকেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়। এরপর সিঙ্গাইর, সাঁটুরিয়া, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভোট ঘোষণার পর বিশাল ভোটের ব্যবধান দেখে হরিরামপুর উপজেলা ভোটকেন্দ্রে জালিয়াতি ও কারচুপির মহোৎসব ঘটানো হয়।

সিঙ্গাইর, সাঁটুরিয়া, মানিকগঞ্জ সদর, ঘিওর ও দৌলতপুর কেন্দ্রে ভোটের ফলাফল ঘোষণা যথাসময়ে হলেও শুধু আমার প্রতিপক্ষকে জয়লাভ করানোর জন্য হরিরামপুর ও শিবালয় উপজেলা ভোটকেন্দ্রের ভোট বিকেল ৫টার পর ঘোষণা করা হয় (হরিরামপুর ও শিবালয় উপজেলা কেন্দ্রে আমার প্রাপ্ত ভোটকে প্রতিপক্ষের প্রাপ্ত ভোট হিসাবে ঘোষণা করা হয়)।