• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ভিকারুননিসায় পাসের হার ৯৯.৭৮, জিপিএ ফাইভ ৮৮ শতাংশ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২২  

দেশের বৃহত্তম বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ ভিকারুননিসা নূনের ৯৯.৭৮ শতাংশ শিক্ষার্থী এবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে স্কুলটির ৮৮.০১ শতাংশ শিক্ষার্থী। আজ সোমবার সারা দেশে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার উপস্থিত সংবাদমাধ্যমগুলোর কাছে এ তথ্য প্রকাশ করেন।

শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলে গর্ব ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে কামরুন নাহার বলেন, ‘এবারের এসএসসি পরীক্ষায় আমাদের স্কুল থেকে মোট দুই হাজার ৩০৬ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল। তাদের মধ্যে দুই হাজার ৩০১ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে, পাসের হার ৯৯.৭৮ শতাংশ। ১৬ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। দুই হাজার ২০৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। ’

চলতি বছর অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় স্কুলটির বিজ্ঞান বিভাগ থেকে দুই হাজার ৪৫ জন, ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ২০৬ জন ও মানবিক বিভাগ থেকে ৫৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এক হাজার ৯১৯ জন, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৭৯, মানবিক বিভাগ থেকে ২৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেয়েছে বলে জানান অধ্যক্ষ কামরুন নাহার।

দুপুর সাড়ে ১২টার পর এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল টাঙিয়ে দেওয়া হয় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নোটিশ বোর্ডে। এ ছাড়াও মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজেদের ফলাফল দেখতে পায় শিক্ষার্থীরা। ফলাফল পেয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ে স্কুলটির শিক্ষার্থীরা। ড্রিল ড্রামের তালে তালে নেচে-গেয়ে সাফল্যের বহিঃপ্রকাশ করে সদ্য এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা।

সব বিষয়ে এ প্লাস পেয়ে উচ্ছ্বসিত বিজ্ঞান বিভাগের তাসমিয়া ফাহিম আদিবা বন্ধুদের সাথে যোগ দিয়েছে নিজের সাফল্য উদযাপনে। কালের কণ্ঠকে সে বলে, ‘আমাদের কলেজের প্রায় সবাই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেয়েছে। তাই আমরা সবাই আনন্দিত। আমার ফলাফলের পেছনে আমরা স্কুল শিক্ষক ও পরিবারের অবদান সবচেয়ে বেশি। ’

আদিবার সাফল্যে আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে তার বাবা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘করোনায় দুই বছর শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এ জন্য আমি ও আমার স্ত্রী একটু বেশি সচেষ্ট ছিলাম। আমাদের মেয়ের সাফল্য আমাদের গর্বিত করেছে। ’বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অঝরা দাসও সকল বিষয়ে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে। ভবিষ্যতে জীববিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা করতে ইচ্ছুক সে। তার মা অপর্ণা রানী সাহা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মেয়ের সাফল্যে আমরা খুব খুশি। অণুজীব বিজ্ঞানে তার আগ্রহ রয়েছে। তার ইচ্ছা পূরণে আমি সচেষ্ট থাকব। ’