• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মানিকগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৩  

দুই বছর ধরে প্রেমিকার টাকা-পয়সায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছে প্রেমিক হাসিবুল। কক্সবাজারে একই কক্ষে থেকে গড়েছেন শারিরীক সম্পর্ক। সেই প্রেমিকাকে বিয়েতে অনিহা প্রকাশ করায় বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে ২৫ বছর বয়সী প্রেমিকা।

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের গাজিন্দা এলাকায় শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। এমন খবরে প্রেমিকের বাড়িতে জরো হয় এলাকার হাজারো বাসিন্দা। খবর পেয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে ধল্লা পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে আসেন এএসআই আমজাদ হোসেন।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেমিকা বলেন, পাশের গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে গণবিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র হাসিবের সাথে ফেসবুকে তার পরিচয় হয়। সেখান থেকে প্রথমে বন্ধুত্ব এবং পরে প্রেমে গড়ায় এই সম্পর্ক। পরে গেলো দুই বছরে মেয়ের নিকট থেকে পড়াশোনা বাবদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা নেয় হাসিব।

পড়াশুনা শেষ করেই তাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়ে নিয়ে যান কক্সবাজারে। সেখানে একটি অভিজাত হোটেলে উঠেন স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে। ৩ দিন সেখানে থাকার পর চলে আসেন নিজ এলাকায়। প্রায় ২০ দিন আগে মেয়ের বাড়িতে শারিরীক সম্পর্ক গড়তে গেলে বিষয়টি নজরে আসে পরিবারের লোকজনদের মধ্যে।

খুব শিগগিরই মেয়েকে বিয়ে করে বাড়ি তুলবে বলে জানালে ছাড় পায় হাসিব। এরপর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ করে লাপাত্তা হয়ে যায় হাসিব। কোন উপায় না পেয়ে আজ প্রেমিকের বাড়িতে উঠে পড়ে বলে জানান অনশনরত যুবতী।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে হাসিবের মা বলেন, হাসিব মেয়েকে নিয়ে একটু ঘুরাফেড়া করেছে। তাই বলে ওই মেয়েকে বউ করে ঘরে তুলার কোন প্রশ্নই আসে না।

তবে হাসিবের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেয়ের এক অভিভাবক বলেন, বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মেয়েটিকে শারিরীক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে হাসিব। এই মেয়েকে এখন অনত্র বিয়ে দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এই ঘটনার আইনানুগ সর্বোচ্চ বিচার দাবি করেন তিনি।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ধল্লা পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই আমজাদ হোসেন বলেন, ওই যুবতী বাড়ি উঠার পর ৯৯৯ এ কল করে হাসিবের মামা। পরে সেখান থেকে মীমাংসার লক্ষে মেয়েকে ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। উভয় পরিবারের মুরুব্বিদের সাথে আলাপ আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সিংগাইর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল ইমরান জানান, উপরোক্ত বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এসব বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।