• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

৪০ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি যে রাস্তায়!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০১৯  

ঢাকার ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়ন বংশী নদীর তীরবর্তী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন জনগণের বহুল  ব্যবহৃত একটি মাটির রাস্তা প্রায় ৪০ বছর আগে বালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মিনহাজউদ্দিন গাঁওতারা থেকে পাড়াগ্রাম পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ৫ কি.মি.মাটির রাস্তাটি নির্মাণ করেন এরপর পার হয়ে গেলো প্রায় চারটি দশক; কিন্তু রাস্তাটি সেই আগের মতই রয়ে গেলো

সরেজমিন দেখা যায়, এই এলাকায় বসবাসরত সাধারণ মানুষ এই রাস্তাটিই ব্যবহার করেন যোগাযোগের সুবিধার্থে সময় বাঁচানোর জন্য

এই রাস্তার ভিতরে তিনটি ব্রিজ প্রতিটা ব্রিজের মাথা থেকে জরাজীর্ণ, ধুলায় ধুসরিত রাস্তা ব্যবহারে পথচারী  অতিষ্ঠ সরকারি খাতায় বংশী নদী সংলগ্ন বেড়িবাধ রাস্তা হিসেবে পরিচিত রাস্তাটি

৩ নং বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সভাপতি, বাংলাদেশ কৃষকলীগ, ধামরাই উপজেলা আহমদ হোসেন এর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই রাস্তার ব্যাপারে উন্নয়ন কাজটি প্রক্রিয়াধীন আছে তবে তদবিরের অভাবে কাজটি পেন্ডিং পড়ে আছে বলেও জানালেন তিনি

তিনি আরও জানান, এই রাস্তার জন্য ইতোমধ্যে প্রায় দুই কোটি টাকার মত বরাদ্দ এসেছে এলজিইডি ধামরাই উপজেলা প্রকৌশলী ইউসুফ সাহেব ব্যাপারটা অবগত আছেন

ধামরাই উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী ইউসুফ হোসেনের মুঠোফোনে বিষয়টি জানতে চেয়ে কল করা হলেও তিনি ব্যস্ত থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায় নাই

এখানকার অধিবাসীরা আরও জানান, গাওতারা, বনেরচর, আমছিমুড় গ্রামের মানুষ পৌর শহরে যেতে সহজ পথ হিসেবে এটা ব্যবহার করে কিন্তু তদবির করার লোক না থাকায় দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর যাবত এই বেড়িবাঁধ সংলগ্ন রাস্তাটির জন্য সরকারি কোনো অনুদান এলেও অদ্যাবধি তা বাস্তবায়ন হয় নাই ক্ষমতাসীনরা নিজেদের স্বার্থে অন্য কোথাও কাজের বরাদ্দ কেটে নিয়ে যাচ্ছে এমনও অভিযোগ নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসীর

একটা স্কুল পড়ে এই পথে আমছিমুড় সেসিপ মডেল হাইস্কুল এই বিদ্যালয়ের প্রায় ৫/৬ শত ছাত্রছাত্রী এই রাস্তাটি ব্যবহার করে তবে বর্ষাকালে ছাত্রছাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায় বলে জানিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা