• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বিলীনের পথে টাঙ্গাইলের মৃৎশিল্প

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

বৈজ্ঞানিক জয়যাত্রা ও নানাবিধ আবিষ্কারের কারণে কালের আবর্তে বিলীনের পথে টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প। তারপরও পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্য এখনও ধরে রেখেছে অনেকে।

মাটির সঙ্গে মানুষের জীবন ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। মাটিকে সবাই পায়ের নিচে রাখতেই অভ্যস্ত। সেই মাটি যখন উঠে আসে আমাদের ঘরে সাজিয়ে তোলে অন্দরমহল, তখন মাটির স্থান আভিজাত্যে। মৃৎশিল্প এমনই একটি মাধ্যম যা মাটিকে নিয়ে আসে মানুষের কাছাকাছি। কালের বিবর্তনে ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের অতি প্রাচীন ওই শিল্পটি হারিয়ে যেতে বসেছে। আয়ের থেকে ব্যয়ের অসঙ্গতি আর জীবমান উন্নয়নের জন্য ক্রমশই অন্য পেশার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন তারা।

দেলদুয়ার উপজেলার সমীর পাল বলেন, বাপ-দাদার জাত ব্যবসা ধরে রাখার জন্য বিগত ৩৫ বৎসর ধরে পেশায় কাজ করছি। কিন্তু মার ছেলেরা এ পেশায় নেই। দিনে দিনে মাটির তৈরি জিনিষের চাহিদা কমছে। উত্তম কুমার পাল, অনন্ত কুমার পাল, মনো পাল ও সুশীল পাল বলেন, বাপ-দাদার কাছে শেখা আমাদের এই জাত ব্যবসা। 

এই ব্যবসা করে আমি ২ সন্তানকে লেখাপড়া শিখিয়েছি, আজ তারা চাকরি করে। এক সময় মাটির তৈরি জিনিষের দেলদুয়ারসহ অন্য উপজেলায় ব্যাপক চাহিদা ছিলো। কিন্তু বর্তমানে মানুষের জীবমান উন্নত হওয়ার জন্য আমাদের মাটির তৈরি জিনিষ খুবই কম চলে। জন্মগতভাবে এ পেশা ইচ্ছে করলেই ছাড়তে পারি না।

করটিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনু বলেন, একসময়ে মৃৎশিল্পটি করটিয়াতে খুব জনপ্রিয় ছিলো। কালের বিবর্তনে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে এ শিল্পটি।

এ বিষয়ে দেলদুয়ার  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান জনবান্ধব সরকার মৃৎশিল্পীদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া ও ঋণদান কর্মসূচী সহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।