• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

কোটি টাকার বাড়ি থেকে ৮২ বছরের মাকে তাড়ালেন ব্যাংকার ছেলে

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৩০ মে ২০১৯  

স্বামী মারা গেলেন কবছর হলো। তিনি কোটি টাকার একটি বাড়ি রেখে গেছেন। আর সেই বাড়িতে ব্যাংকার ছেলে ও তার স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন মা শেফালী রাণী রায়। তার বয়স এখন ৮২ বছর। তবে মাকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন ছেলে ও তার স্ত্রী। কোনো উপায় না পেয়ে তিনি বাড়ির পাশের একটি মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছেন।  

নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায় পোদ্দারপাড় গ্রামে মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। মা শেফালী রাণী রায়। স্বামী চিত্তরঞ্জন রায়। বড় ছেলে শংকর কুমার রায় কৃষি ব্যাংক ফরিদপুর জেলা শাখার সাবেক ম্যানেজার। স্বামী মারা যাওয়ার পর এই ছেলের সঙ্গেই থাকতেন মা শেফালী রাণী রায়। রাতভর নির্যাতনের পর মঙ্গলবার ভোরে শংকর রায় ও তার স্ত্রী শেফালীকে ঘর থেকে বের করে দেন। সরাদিন এই মন্দিরেই কেটেছে তার। এখবর জানাজানি হলে সাংবাদিকরাও ছুটে আসেন।

সেখানে দেখেন অসহায় মা শেফালী এক বুক যন্ত্রণা নিয়ে মন্দিরের মেঝেতে শুয়ে আছেন। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন।

পোদ্দারপাড়া এলাকার কালু বলেন, শেফালী রাণীর দুই ছেলে। বড় ছেলে শংকর রায় কৃষি ব্যাংক ফরিদপুর এলাকায় ম্যানেজার হিসাবে চাকরি করেছেন। বর্তমানে অবসরে আছেন। অপর ছেলে বিশ্বনাথ রায় যশোরে মোটর পার্টেসের ব্যবসা করেন। শেফালী রাণীর চার মেয়ে। কনিকা রায়, মিনতি রায়, মনিকা রায় ও ছবি রাণী রায়। মেয়েদের সকলেরই ভাল পাত্রস্থ হয়েছে। শংকর রায় পিতার রেখে যাওয়া প্রায় কোটি টাকা দামের পোদ্দারপাড়ায় দোতলা বাড়িতে বসবাস করেন। কিন্তু সেই কোটি টাকার বাড়িতে একটু আশ্রয় মেলেনি মা শেফালীর।

লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিকদার নজরুল ইসলাম বলেন, শংকর সাহা নিজ মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। ভোর থেকেই ওই মা মন্দিরে আশ্রয় নেয়।

শংকর রায় সাংবাদিকদের বলেন, মা রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে এসেছেন। আমি মাকে নিতে এসেছি।

লোহাগড়া থানার ওসি মো. মোকাররম হোসেন বলেন, কোন অভিযোগ পাইনি। তবে, বিষয়টি যেহেতু মানবিক। অবশ্যই খোঁজ-খবর নিয়ে সঠিক তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।