• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

তিনমাস নিখোঁজ, ওসির ভালোবাসায় পরিবারকে পেল শিশু জুনায়েদ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২ জুন ২০১৯  

পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে কুড়িয়ে পাওয়া এক শিশুকে পাওয়ার পর তাকে পরম মমতায় আগলে রেখেছিলেন পাবনা সদর থানার ওসি ওবাইদুল হক। তার জন্য করেছেন ঈদ বাজারও। গত এক সপ্তাহ শিশু জুনায়েদের বেশ হাসি খুশিতেই কেটে গেছে। অবশেষে তার বাবা-মা’র সন্ধানও মিলেছে।  

পাবনা সদর থানার ওসি ওবাইদুল হক জানান, সপ্তাহখানেক আগে এক রাতে টহলরত অবস্থায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য বাস টার্মিনালে শিশু জুনায়েদকে কুড়িয়ে পান। অভুক্ত আর মলিন চেহারা, তবে মায়াবি। সে শুধু তার নাম বলতে পারছিল। আর কোনো কিছুই বলতে পারছিল না। এমনকি বাবা-মায়ের নামও না।  

বিষয়টি দেখে ওসি ওবাইদুলের মনে দয়া হয়। তিনি শিশুটিকে পরম মমতায় নিয়ে আগলে রাখেন পাবনা সদর থানার হেফাজতে। ওসির সঙ্গে বেশ খাতির জমে ওঠে জুনায়েদের। ঈদ সামনে আসায় তার জন্য জামা-জুতা, খেলনা সব কিনে দেয়া হয়। এমনকি তার পছন্দমত খাবারও বিভিন্ন সময় কিনে খাওয়ানো হয়। তাকে হাসি খুশি রাখতে ওসিসহ অন্যরাও চেষ্টা করেন। ওসি তার সঙ্গে ছবি উঠিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়ায় তার স্বজনরা জুনায়েদকে শনাক্ত করেন। 

ওসি জানান, ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানায় প্রথম যোগাযোগ করেন তার স্বজনরা। তাদের মাধ্যমে শিশুটির স্বজনরা শনিবার (১ জুন) রাতে কথা বলেন পাবনা সদর থানার ওসির সঙ্গে।

পাবনা সদর থানার ওসি শিশুটির স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান, ওর মা কয়েক বছর হলো দেশের বাইরে কাজে গেছেন। আর বাবা মো. সুমন মিয়া কিছুটা বোকা টাইপের। এতে শিশুটি বাড়ি থেকে সবার অজান্তে হারিয়ে যায়। গত তিন মাস ধরে সে নিখোঁজ ছিল। দেশের বিভিন্ন জায়গায় কেটেছে তার ভবঘুরে জীবন। অবশেষে পাবনা সদর থানার ওসি তাকে ঠাঁই দিয়েছিলেন।

পাবনা সদর থানার ওসি জানান, পিতৃস্নেহই তাকে আগলে রেখেছিলাম। এখন তার স্বজনদের খোঁজ পাওয়ায় আমি আনন্দিত। তার প্রতি একটা মায়াও জন্মে গেছে এরমধ্যে। এজন্য তাকে ছাড়তে কষ্টও হচ্ছে। তবে সান্ত্বনা পাচ্ছি শিশুটি তার স্বজনদের কোলে ফিরে যেতে পারছে। সে ভালো থাকলেই ভালো লাগবে আমার।