• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

১৯ বছর ধরে মেয়র এক ব্যক্তি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০১৯  

১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত যশোরের ঝিকরগাছা পৌরসভায় প্রথম নির্বাচন হয় ২০০১ সালে। সেই নির্বাচনে বিজয়ী হন মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল। এরপর পৌর সীমানা বাড়াতে মন্ত্রণালয়ে আবেদন ও তিন ব্যক্তির হাইকোর্টের রিটে ১৪ বছর ধরে আটকে আছে পৌর নির্বাচন। এতে ১৯ বছর ধরে মেয়র পদে বহাল আছেন এক ব্যক্তি।

২০০১ সালের ২ এপ্রিল ঝিকরগাছা পৌরসভার প্রথম নির্বাচনের পর আর নির্বাচন হয়নি। ২০০৬ সালে তৎকালীন বিএনপির নেতারা নিজেদের ভোট ব্যাংক বাড়াতে সদর ইউপির মল্লিকপুর, ফারাসাতপুর, পদ্মপুকুর, পানিসারা ইউপির পুরন্দপুর, কাউরিয়া ও গদখালী ইউপির বারবাকপুর ও বামনআলী গ্রামের অংশ বিশেষ পৌরসভার অন্তর্ভুক্তের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। তবে এর বিরুদ্ধে স্থানীয়রা বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। পরে ওই সব এলাকাকে পৌরসভায় অন্তভুর্ক্ত না করতে কাউরিয়া গ্রামের শাহিনুর রহমান, বামনআলী গ্রামের শাহাদৎ হোসেন ও মল্লিকপুর গ্রামের সাইফুজ্জামান হাইকোর্টে পৃথক তিনটি রিট পিটিশন দায়ের করেন।

তারা পিটিশনে উল্লেখ করেন, তাদের এলাকায় দরিদ্র মানুষের বাস, তারা কম আয় করেন। পৌর এলাকায় অন্তর্ভুক্ত হলে তাদের বেশি করে ট্যাক্স দিতে হবে। তাই তারা পৌর এলাকার অন্তর্ভুক্ত হতে চান না। ফলে ২০০৬ সালের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এরপর টানা ১৯ বছর পার হলেও মামলা জটিলতায় পৌরসভার নির্বাচন আর হয়নি।

হাইকোর্টে রিট পিটিশনকারী কাউরিয়া গ্রামের শাহিনুর রহমান বলেন, পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত হতে চাই না। অন্য রিটকারী বামনআলী গ্রামের শাহাদৎ এর মধ্যে হোসেন মারা গেছেন।

পৌরসভার বাসিন্দা পাপ্পু রয় জানান, ছোটবেলা থেকেই মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামালকে মেয়র হিসেবে দেখছি। এ পর্যন্ত পৌর নির্বাচন চোখে দেখিনি। নির্বাচন না হওয়ায় পৌরসভার উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। এখানে নাগরিকদের সেবা শূন্যের কোঠায় বললে চলে।

পৌর মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জানান, তিনি পৌরসভার নির্বাচন চান। তবে সেটা আগের সীমানায় হতে হবে।

যশোরের অ্যাডিশনাল ডিসি (সার্বিক) হুসাইন শওকত বলেন, সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার মামলা থাকায় ঝিকরগাছা পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। বিষয়টি আদালতই নিষ্পত্তি করবেন।