• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আশরাফের স্মৃতিচারণে আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০১৯  

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৈয়দ আশরাফকে হারিয়ে আমাদের দল ও দেশের অনেক ক্ষতি হলো। তিনি জানান, নিজের ভাইয়ের মতো দেখতেন আশরাফুলকে।

বুধবার (৩০ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনের প্রথম দিনে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ওপর আনীত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। আবেগজড়িত কণ্ঠে কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে তার কণ্ঠ আটকে যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেন, ‘আমার খুব কষ্ট হচ্ছে’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময় আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে বলিষ্ট ভূমিকা রেখেছিল সৈয়দ আশরাফ। আজ আমরা যে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি সেক্ষেত্রে সৈয়দ আশরাফেরও বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। অসম্ভব সহজ-সরল ছিল সে। ভাইদের হারিয়ে যে ক’জনকে ভাইয়ের মতো পেয়েছিলাম, সৈয়দ আশরাফ তাদের একজন।

তিনি বলেন, তার বাবা দেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন, সৈয়দ আশরাফও দীর্ঘদিন মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু সবসময় অসম্ভব সৎ জীবন-যাপন করেছে। ওর টাকা নেই, পয়সা নেই। কষ্ট করে চলতে হতো। তার চিকিৎসার জন্য যা যা করার আমি করেছি। তার মতো একজন প্রজ্ঞাবান ও জ্ঞানী রাজনীতিকের চলে যাওয়ার ক্ষতি কোনোদিন পূরণ হওয়ার নয়। তার মৃত্যু দল হিসেবে আওয়ামী লীগের এবং দেশের জন্য চলে যাওয়া অপূরণীয় ক্ষতি হলো।

শেখ হাসিনা বলেন, সৈয়দ আশরাফ অত্যন্ত সৎ ও মেধাবী রাজনীতিক নেতা ছিলেন। আমার পরিবারের সদস্যদের মতো ছিল, আমাকে বড় বোনের মতো শ্রদ্ধা করতো। প্রতিটি ক্ষেত্রে সে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। রাজনৈতিক জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও অসাধারণ মেধাসম্পন্ন নেতা ছিল সৈয়দ আশরাফ। পৃথিবীর যেকোনো রাজনৈতিক দর্শন ওর নখদর্পণে ছিল। ভাবতেই পারিনি ও এত তাড়াতাড়ি চলে যাবে।

ময়মনসিংহবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আজ আশরাফের মতো একজন জ্ঞানী লোক, তাকে হারানো আমাদের দলের জন্য ও দেশের জন্য ক্ষতিকর। অসুস্থ অবস্থায় বিদেশে চিকিৎসায় থাকা অবস্থাতেই সৈয়দ আশরাফকে মনোনয়ন দেই। ওকে আমি বাদ দিতে পারিনি। ও বিদেশে চিকিৎসায় ছিল কিন্তু প্রার্থী কেন নেই একটিবারের জন্যও তার এলাকার লোক প্রশ্ন করেনি। তাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছি। যেদিন আমরা শপথ নেই সেদিনই ওর মৃত্যু খবর পেলাম। এটা অনেক কষ্টকর যে সৈয়দ আশরাফ শপথ নিতে পারলো না। ওর বোন ডা. লিপিকে উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়েছি। সৈয়দ আশরাফের স্মৃতি ধরে রাখতে ডা. লিপিকে ভোট দিয়ে ময়মনসিংহবাসী নির্বাচিত করবেন।

শোক প্রস্তাবের ওপর আরও আলোচনা করেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ নাসিম, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এবং সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা জাতীয় পার্টির কো-চেযায়রম্যান রওশন এরশাদ।