• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনা সুদে গৃহঋণ পাবেন জাতির সূর্যসন্তানরা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ; আমাদের অস্তিত্ব এবং ইতিহাসের এক অভিন্ন নাম। ১৯৭১ সালে এই মহাকাব্য যারা রচনা করেছিলেন তারা আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেই জাতির সূর্য-সন্তানদের সম্মানিত এবং বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান নানামুখী কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাকে বিনা সুদে গৃহঋণ দেওয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে যে, প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাকে ১০ লাখ টাকা করে বিনা সুদে ঋণ দেওয়া হবে। সরকার এইজন্যে ‘মুক্তিযোদ্ধা গৃহনির্মাণ ঋণ’ নামে একটি প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের পাকা বাড়ি তৈরি করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় ঋণ দেওয়ার এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে ১৬ হাজার ১২৪ কোটি টাকা খরচ হতে পারে।

গৃহনির্মাণ ঋণ দেওয়ার যুক্তি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ঋণের উদ্দেশ্য হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা ও মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা পাওয়ার যোগ্য অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত উত্তরাধিকারীদের জন্য আবাসিক গৃহ-নির্মাণ। ঋণের সম্ভাব্য প্রার্থী হবেন ১ লাখ ৬১ হাজার ২৪৪ জন। সে হিসেবে দরকার পড়বে ১৬ হাজার ১২৪ কোটি টাকা। ভূমিহীন ও অসচ্ছল জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ঋণগ্রহীতা মুক্তিযোদ্ধা মারা গেলে উক্ত মুক্তিযোদ্ধার অবর্তমানে ভাতা যিনি পান, তিনিই হবেন বাড়ির উত্তরাধিকারী।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দেশে গেজেটভুক্ত মোট মুক্তিযোদ্ধা ২ লাখ ৩০ হাজার ৩৪৯ জন। তাঁদের মধ্যে সম্মানী ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধা ১ লাখ ৮৪ হাজার ১৩৭ জন এবং খেতাবপ্রাপ্ত সম্মানী ভাতাভোগী ৫৮৭ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জীবিত ও মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতাভোগী উত্তরাধিকারীদের মধ্যে আনুমানিক ৭০ শতাংশ ঋণ প্রার্থী হবেন। সে বিবেচনায় সম্ভাব্য ঋণ প্রার্থী হবেন ১ লাখ ৬১ হাজার ২৪৪ জন। প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা ঋণ দিলে টাকার দরকার পড়বে ১৬ হাজার ১২৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

পাঁচ বছরের এই প্রকল্পের আওতায় সব ঋণ দেওয়া হবে বিনা সুদে অথবা ৫ শতাংশ সরল সুদে। সুদে দেওয়া হলে ঋণগ্রহীতাদের সুদের টাকা পরিশোধ করতে হবে না, করবেন সরকার। সরকার প্রতিবছরের বাজেটে সুদ বাবদ বরাদ্দ রাখবেন।

আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার এই সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন।