• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দেশি ফলে ভর্তি বাজার, কমতি নেই দামে

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০১৯  

বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে এখন চলছে মধুমাস জ্যৈষ্ঠ। আম, লিচু, আনারস, জামরুল, কলা, বাঙ্গি, তরমুজসহ রসালো দেশি ফলে বাজার ভরপুর। তবে নানা জাতের ফলে বাজার ভরতি থাকলেও, এগুলোর দাম বেশ চড়া।

শনিবার রাজধানীর পল্টন, সেগুনবাগিচা, যাত্রাবাড়ি, খিলগাঁও, মুগদাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নানা রকম দেশি ফল বিক্রি করতে দেখা গেছে। ফুটপাত থেকে শুরু করে বড় বড় সুপারস্টোর সব জায়গায়ই এখন বৈচিত্র্যময় ফলে ভরা। আবার অনেকে ভ্যানে করেও ফল বিক্রি করছে।

Fruits

দেশি ফলে বাজার ভরপুর হলেও দাম নিয়ে অস্বস্তিতে ক্রেতারা। এদিকে নতুন ফলের চাহিদা বেশি হওয়ায় দাম চড়া বলছেন বিক্রেতারা।

এসব বাজারে প্রতি কেজি আম বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। জামের কেজি ৩০০ টাকা, পাকা পেপে ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, লিচু (বড় আকারের ) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা শ, ছোট লিচু ২০০ থেকে ৩০০ আনারস আকারভেদে ১০ থেকে ৬০ টাকা, জামরুল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৮০ টাকা, কলা ১২০ থেকে ১৫০ টাকা ডজন, বাঙ্গি ৩০ থেকে ৮০ টাকা, বড় বাঙ্গি ১০০ থেকে ২০০ টাকা, ছোট আকারের তরমুজ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।

তিন থেকে ৪ কেজি ওজনের তরমুজ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। পেয়ারার কেজি ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকা। সবেদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে, বেল প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া কাঠাল বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায়। কাঁচা তাল ৩০ থেকে ৪০ টাকা (প্রতিটি শাঁস ১০ টাকা)।

Fruits-06.jpg

যাত্রাবাড়ি এলাকায় ভ্যানে করে লিচু, জামরুল, আম, পেয়ারা বিক্রি করছেন আলম মিয়া। তিনি ১০০ লিচু ৪০০ টাকা, জামরুল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, আম ২০০ টাকা ও পেয়ারা বিক্রি করছে ১০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

দাম সম্পর্কে আলম মিয়া জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আম, লিচু বাজারে উঠেছে। এখনও পুরোপুরি এসব ফল পাকা শুরু হয়নি। তাই পাইকারি বাজারে দাম বেশি।

তিনি বলেন, রমজান মাসে এমনিতেই মানুষ ফল বেশি কেনে। এর মধ্যে দেশি নতুন ফলের চাহিদা আরও বেশি। তাই দামও বেশি। জ্যৈষ্ঠ মাস শুরু হয়েছে। ১৫ থেকে ২০ দিন গেলেই দেশি ফল বাজারে পুরোপুরি নামবে। ফলে দামও কমে যাবে বলে জানান এই ফল ব্যবসায়ী।

Fruits-06.jpg

রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় আজাদ প্রোডাক্টসের সামনে বিদেশি ফল বেশি বিক্রি করলেও, এখন দেশি ফলে ভরপুর। ফল বিক্রেতা বাবুল হোসেন বলেন, রমজানের শুরু থেকে ফলের বেচাকেনা বেড়েছে। এখন দেশি ফলের চাহিদা বেশি। এর মধ্যে আম ও লিচু বেশি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আম বিক্রি করছি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। আর লিচু বিক্রি করছি প্রতি শ ৫০০ টাকা।

ফলের দামি বেশির প্রসঙ্গে এ ফল ব্যবসায়ী বলেন, ভালো কিছু খেতে গেলে দাম বেশি হবেই। এছাড়া নতুন ফল, বাজারে চাহিদা বেশি। তাছাড়া আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়েছে। সবমিলিয়ে দাম একটু বেশি রাখতে হচ্ছে। তবে গত এক সপ্তাহে দাম কমেছে। গত সপ্তাহে যে লিচু ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা শ বিক্রি করেছি, আজকে তা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজিতে আমের দামও ৫০ টাকা কমেছে। এখন যত দিন যাবে বাজারে দেশি ফল নামবে। ফলে দামও কমে যাবে বলে জানান তিনি।

Fruits-06.jpg

পল্টনে ফল কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মোহাম্মদ হাকিম জানান, লিচুর দাম ৬০০ টাকা শ। আমের কেজি ৩০০ টাকা। বাজারে ফলের অভাব নেই। কিন্তু দামের করণে ফলে হাতই দেয়া যায় না। আমাদের মতো সীমিত আয়ের মানুষের জন্য এতো বেশি দামে ফল কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। তাই ফলের দাম জিজ্ঞাসা করছি। দরদামে হলে কিনব, না হয় কিনব না। যখন দাম কমবে তখন কিনব।

southeast

মতিঝিলে ভ্যানে তিন ধরনের আনারস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ী জব্বার। দাম জানতে চাইলে তিনি জানান, আনারস প্রতি পিস ১৫ টাকা, ২০ টাকা। বড় আনারসের দাম ৩০ টাকা। ক্রেতা চাইলে কেটেও দিচ্ছেন এ আনারস বিক্রিতা।

মুগদায় লিচু কিনতে আসা এক জানান, মৌসুমি ফল আজকে প্রথম কিনলাম। ১০০ লিচুর দাম ৩০০ টাকা নিলো। লিচুর আকার হিসাবে দাম তো বেশিই। বাচ্চারা লিচু পছন্দ করে তাই কিনলাম।