• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারতে নির্বাচনের আগে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০১৯  

লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সম্ভাবনা বেশ প্রবল। জাতীয়তাবাদী শক্তি হিন্দু ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করবে। আর এমনটা হলে বাড়বে দাঙ্গার আশঙ্কা। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ড্যান কোটস মার্কিন কংগ্রেসের সিনেট সিলেক্ট কমিটির কাছে এই প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

আনন্দবাজার প্রত্রিকার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে পৃথিবীর কোথায় বিপদ লুকিয়ে আছে তার সন্ধান করেই মূলত এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। তাদের ওই প্রতিবেদনে ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশটির সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা।

মার্কিন কংগ্রেসের সিনেট সিলেক্ট কমিটিকে ড্যান কোটস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) হিন্দু ভাবাবেগকে ব্যবহার করার চেষ্টা করলে লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা বাড়বে।’

গোটা পৃথিবীর আসন্ন বিপদ নিয়ে করা এই প্রতিবেদন সিনেটে উপস্থাপন করার সময় উপস্থিত ছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই, সিআইএ ও প্রতিরক্ষা বিভাগের গোয়েন্দা প্রধান। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্যতম সিআইএ’র প্রধান জিনা হ্যাসপেল সম্প্রতি ভারত সফর শেষ করে দেশে ফেরেন।

মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ‘হিন্দুত্ববাদী নীতি নেয়ার কারণে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে ইতোমধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভেদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব ফের হিন্দুত্ববাদী পথে হাঁটলে দলটির স্থানীয় কর্মীরা সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটাতে উৎসাহ পাবেন। সে ক্ষেত্রে নিশ্চিত ভাবেই বাড়বে দাঙ্গার ঘটনা।’

মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা বাড়লে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা। সেই সুযোগে মুসলিম সমাজে প্রভাব বাড়াবে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী।’

প্রতিবেদনে লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়েও উদ্বেগ জানানো হয়েছে। আগামী মে পর্যন্ত দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকবে বলে আশঙ্কা করছেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, ‘সীমান্ত সন্ত্রাস, নিয়ন্ত্রণ রেখায় গোলাগুলি, ভারতের নির্বাচন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে পাকিস্তানের আশঙ্কার কারণে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে উত্তেজনা অব্যাহত থাকবে।’