• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শপথ নিয়ে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টে বিভক্তি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১ মে ২০১৯  

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে ৭ নেতা এমপি হিসেবে জয়ী হবার পর থেকে একের পর এক নাটক করে যাচ্ছে বিএনপি। দীর্ঘ চার মাসে অন্তত ৪০০ বার শপথ না নেয়ার কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেললেও শেষ পর্যন্ত শপথ নিয়ে জনগণকে বোকা বানিয়েছে বিএনপি। এর চেয়ে লজ্জার আর কিছুই হতে পারে না বলে জানিয়ে সাংবাদিকদের সামনে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘উন্নয়নের মৃত্যুকূপে জনজীবন/নুশরাত : একটি প্রতিবাদ’ শীর্ষক আওয়াজের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, যখন গণফোরাম থেকে বিজয়ী নেতা সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান শপথ নিলেন, তখন তারেক রহমান ও বিএনপির চাপে তাদের বহিষ্কার করতে হলো। কিন্তু এখন বিএনপির ৪ নেতা একত্রে শপথ নিলো, অথচ তাদের কিছুই করা হলো না। আমাদের দল ছোট বলে আমাদের সঙ্গে এমন অসদাচরণ করছে বিএনপি। যেখানে বারবার সিদ্ধান্ত নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে হাসির পাত্র হয়ে পড়েছে বিএনপি। শপথ নিয়ে লুকোচুরি করায় দলটির জনপ্রিয়তা তলানিতে নেমেছে।

এসময় ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, বিগত চার মাসে শপথ নিবেন না বলে শেষ পর্যন্ত নাকি তারেক রহমানের নির্দেশে শপথ নিয়েছেন বিএনপির নির্বাচিতরা। অথচ এই তারেক রহমান গণফোরাম থেকে জয়ী নেতারা শপথ নেয়ার পর তাদের দল থেকে বের করে দেবার সিদ্ধান্ত দেয়। যেহেতু গণফোরামে একতা রয়েছে, সেহেতু আমরা সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খানকে দল থেকে বহিষ্কার করে দেই। কিন্তু বিএনপি শপথ গ্রহণের মাধ্যমে প্রমাণ করলো তাদের দলের মধ্যে কোনো একতা নেই।

জানা গেছে, শপথ নেয়ার আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে চার সংসদ সদস্যের রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। তখন লন্ডন থেকে স্কাইপিতে যুক্ত হন তারেক রহমান। চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে শপথের বিষয়ে চলে দফায় দফায় বৈঠক। যদিও ওই বৈঠকে সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় ও অনমনীয় ছিলেন সংসদ নির্বাচনে হেরে যাওয়া বিএনপির শীর্ষ নেতারা।

সূত্র জানায়, সার্বিক আলোচনায় নির্বাচিতদের বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে যান তারেক রহমান। শপথে বাধা দিলেও তারা তা অমান্য করে শপথ নেবেন। এতে দল থেকে বহিষ্কার করেও কোনো লাভ হবে না বরং দলীয় শক্তি আরো ক্ষয় হবে। পরিণতিতে সরকার এদেরকে দিয়ে বিএনপিকে ভাঙ্গার চেষ্টা করবে। এছাড়া, শপথ না নিলে ওই আসনগুলোতে উপ-নির্বাচন দিয়ে সরকার দলীয়দের নির্বাচিত করে আনবে। ফলে বিএনপির পক্ষে কথা বলার মত আর কোনো জায়গা অবশিষ্ট থাকবে না। এসব কারণে তারেক রহমান ঝুঁকি নিতে চাননি। ফলে ৬ জনের ওপর দলের কর্তৃত্ব বহাল রাখতেই দলের যৌথ সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নেয়ার একক সিদ্ধান্ত দেন তারেক রহমান।