• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

কোটি টাকার বাণিজ্যের বলি শামসুজ্জামান দুদু,টিকে গেলেন শরীফ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮  

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে থেকে ধানের শীষ প্রতীকে লড়তে চেয়েও দলীয় মনোনয়ন পাননি তিনি। ওই আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শরীফুজ্জামান শরীফ। সূত্র বলছে, শরীফকে মনোনয়ন পেতে গুনতে হয়েছে অন্তত ১০ কোটি টাকা। আর তারেক রহমানের বাণিজ্যের কাছে বিএনপির ত্যাগী নেতা শামসুজ্জামান দুদু হেরে গেলেও টিকে গেছেন শরীফ। আর এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপিতে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হয়েও দুদুর মনোনয়ন না পাওয়া, শরীফের মনোনয়ন পাওয়া এবং তারেক রহমানের মনোনয়ন বাণিজ্যের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদুর সমর্থক ও চুয়াডাঙ্গার গুরুত্বপূর্ণ বিক্ষুব্ধ একাধিক নেতা। তারা তারেক রহমানের রোষানল থেকে বাঁচতে নিজেদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। তবে দুদুর সমর্থকরা জানিয়েছেন, তারা কখনো স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি যে, তার (দুদু) মতো একজন নেতা যিনি বিগত ১০ বছর বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে থেকেছেন- তাকে মনোনয়ন দেয়া হবে না!

জানা গেছে, দুদু একপ্রকার নিশ্চিতই ছিলেন সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে তিনি মনোনয়ন পাবেন। ফলে মনে মনে তিনি প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। এ নিয়ে সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন কয়েকবার। কিন্তু চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শরীফুজ্জামান শরীফের মাঝে-মধ্যে লন্ডন সফরে কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন দুদু। এবং শেষ পর্যন্ত দুদুর জায়গায় ওই আসনে শরীফ মনোনয়ন পান শরীফ।

যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি আব্দুল মালিকের বরাতে দুদুর একজন সমর্থক ও ঘনিষ্ঠজন বলেন, আমরা জেনেছি, প্রায় ১০ কোটি টাকার বিনিময়ে শরীফুজ্জামান শরীফ তারেক রহমানের কাছে মনোনয়ন কিনেছেন। ওই আসনে তার জনপ্রিয়তা নেই বললেই চলে। কেবল টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন বিক্রি করে তারেক সাহেব দলের ত্যাগী নেতা দুদু ভাইকে অপমান করলেন। এর প্রতিশোধ আমরা নেব। কেবল মনোনয়ন পেলেই তো হবে না, জনসমর্থনও লাগবে। বিএনপির রাজনীতি করি বলে মুখ বুজে সবকিছু সহ্য করে যাব তা হয় না। আমরাও আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেব ৩০ তারিখের নির্বাচনে।

এদিকে শুধু শামসুজ্জামান দুদুর ক্ষেত্রে নয়, সারা দেশের অসংখ্য আসনে কেবল বাণিজ্যের কারণে ত্যাগী নেতাদের মনোনয়ন দেয়া হয়নি। বাদ পড়েছেন দলের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা, সাবেক মন্ত্রী ও তাদের পরিবারের সদস্যরাও। এরইমধ্যে তারা দলের কার্যালয়ে তালা, ভাঙচুরের মতো ঘটনাও ঘটিয়েছেন। যা বিএনপির জন্য অশনি সংকেত বলে মনে করছেন রাজনীতি সচেতন সুশীল সমাজ।