• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ভোট দিতে তরুণদের আহ্বান সায়মার

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮  

ভোটসহ সব ক্ষেত্রে তরুণদের অংশগ্রহণ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন।

বুধবার ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে তরুণদের নিয়ে ‘তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ বিষয়ক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।

সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এবং #আইঅ্যামবাংলাদেশ এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

সারাদেশ থেকে আসা পাঁচ শতাধিক তরুণদের সঙ্গে আলাপে নিজের ১৮ বছর বয়সে ভোট দেওয়ার কথা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি সায়মা।

শিক্ষার্থী থেকে উদ্যোক্তা তরুণদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “নিজেকে সম্পৃক্ত কর। আমি তো বলব অংশগ্রহণ করো, সকল ক্ষেত্রেই অংশ নাও।”

মায়ের সরকার নিয়ে নানা সমালোচনার প্রেক্ষাপটে সালমা বলেন, অভিযোগ অনেকে করতে পারলেও পরিবর্তন আনতে পারে না সবাই।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের চার দিন আগে এই অনুষ্ঠানে ভোটে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি সোশাল মিডিয়াতে ছড়ানো যে কোনো খবর যাচাই করে নিতেও তরুণদের পরামর্শ দেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শক প্যানেলের সদস্য সায়মা।।

আইনজীবী শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ও উন্নয়ন নিয়ে তরুণদের সঙ্গে আলাপ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, লেখক-অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং জাতীয় দলের তরুণ ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ।

পাঁচ বছরের মাথায় আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত ৩৯ দলের সবগুলোই থাকছে। আর এবারের ১০ কোটি ৪২ লাখ ভোটারের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই বয়সে তরুণ যুবা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ফলাফলের নির্ণায়ক হয়ে উঠতে পারে এই সোয়া দুই কোটি তরুণ ভোটার।

তরুণদের প্রথম ভোটকে টানতে রাজনৈতিক দলগুলি তাই নিজেদের নির্বাচনী প্রচারণা ঢেলে সাজাচ্ছে।

টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশকে ‘উন্নয়নের মহাসড়কে’ তোলার পর এখন তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্বে সম্পৃক্ত করে সেই পথে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি এসেছে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে।

সকল দলের নির্বাচনী ইশতেহারই পড়েছেন জানিয়ে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের এই ইশতেহারকে ‘এ প্লাস’ দেন অধ্যাপক জাফর ইকবাল।

২০০৮ সালের ‘দিনবদলের সনদ’, ২০১৪ সালের ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ এর পর আসন্ন ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’।

প্রতিটি ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের দলীয় অবস্থান, গত ১০ বছরের অর্জন এবং আগামী দিনের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা ধরে সাজানো হয়েছে ৮০ পৃষ্ঠার ইশতেহার।

‘তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ স্লোগানে তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে এবং স্বাবলম্বী তরুণ সমাজ গঠন করতে ২০২১ সালের মধ্যে ‘তরুণ উদ্যোক্তা নীতি’, একটি দক্ষ ও কর্মঠ যুবসমাজ তৈরি করতে ২০২৩ সালের মধ্যে ‘কর্মঠ প্রকল্প’ এবং প্রতি উপজেলায় যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে স্বল্প ও অদক্ষ তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনার কথা রয়েছে দলটির ইশতেহারে।

তরুণ যুব সমাজের জন্য ইশতেহারে বলা হয়েছে, ২০২৩ সাল নাগাদ অতিরিক্ত ১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে।

জাতীয় যুব নীতি ২০১৭ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারসহ নতুনভাবে এক কোটি ১০ লক্ষ ৯০ হাজার মানুষ শ্রমশক্তিতে যুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।

ডিজিটালবান্ধব তরুণ প্রজন্মের জন্য ২০২১-২৩ সালের মধ্যে ৫-জি চালু করার কথা রয়েছে ইশতেহারে। ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যবহারের মূল্য যুক্তি সংগত পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে বলেও জানাচ্ছে দলটির এই নির্বাচনী অঙ্গীকারনামা।