• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মহাসচিব পরিবর্তনে ‘সার্চ কমিটি’ গঠন করলো তারেক

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

নিউজ ডেস্ক: দলীয় ভঙ্গুরতা বিবেচনায় বিএনপির নতুন মহাসচিব খুঁজতে সার্চ কমিটি গঠন করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এরইমধ্যে এ বিষয়ে তারেক রহমান সার্চ কমিটির সকল সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং প্রত্যেক সদস্যকে মহাসচিব পদের জন্য তিন থেকে পাঁচ জনের নাম দেয়ার অনুরোধ করেছেন। বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, সার্চ কমিটি যে নামগুলো প্রস্তাব করবে সেই নাম নিয়ে তারেক রহমান তৃণমূলের মতামত নেবেন।

সূত্র বলছে, নামগুলো প্রস্তাব করা হলে তৃণমূলের মাধ্যমে ভোট নেয়া হবে। এতে যিনি নির্বাচিত হবেন তাকেই মহাসচিবের দায়িত্ব দেয়া হবে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, তারেক রহমান প্রথমে নেতৃত্ব পরিবর্তনের বিরুদ্ধে ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি এমন কিছু তথ্য পেয়েছেন যা বিবেচনা করে দলের মহাসচিব পরিবর্তনের বিষয়টিতে গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি নিশ্চিত যে, যদি মহাসচিব পরিবর্তন না করা হয়, তাহলে দলের মধ্যে হতাশা বাড়বে। কর্মীদের মনোবল থাকবে না। দলের মধ্যে কোন্দল আরও বেড়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতেই দলকে পুনর্গঠন এবং চাঙ্গা করার জন্যই নতুন মহাসচিব খুঁজছেন তিনি।

প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, এ পর্যন্ত তারেক জিয়া লন্ডন থেকে ৫ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। মহাসচিব কে হতে পারেন, এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ, আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, যায়যায় দিনের শফিক রেহমান, দৈনিক দিনকালের সম্পাদক ড. রেজওয়ান সিদ্দীকি এবং সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, সাধারণত দলের মহাসচিব হয় দলের চেয়ারপারসনের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করে। তিনি যাকে পছন্দ করেন তাকে মহাসচিব করা হয়। তবে এবার তারেক রহমান মহাসচিব মনোনয়নের ক্ষেত্রে তৃণমূলকে গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি একটি দীর্ঘমেয়াদী আন্দোলনের পরিকল্পনা থেকে দলকে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রথমে মহাসচিব পরিবর্তন করা হবে।

এদিকে গত কিছুদিন যাবত তারেক রহমান তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করেছেন। তাদের সঙ্গে আন্দোলন, সংগ্রাম এবং সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে নানা রকম মতামত নিচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে যে, আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই বিএনপিতে নতুন মহাসচিব দায়িত্ব নেবেন।