• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দলে প্রভাব বাড়াতে উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহীদের উসকে দিচ্ছে বিএনপি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

নিউজ ডেস্ক: এক দশকের অধিক সময়ে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি ‘বেহাল’ অবস্থায় রাজনীতির কক্ষপথ থেকে ছিটকে পড়েছে। এর প্রভাবে কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূলের সংগঠনেও ‘কাদা ছোড়াছুড়ি’ চরমে উঠেছে। জড়িয়ে পড়েছে নানা প্রকার দ্বন্দ্বে। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে অংশগ্রহণ না করার নির্দেশনা থাকলেও বিদ্রোহ করে অনেকেই অংশগ্রহণ করছেন। তৃণমূলের রাজনীতিতে নাজেহাল অবস্থায় বিএনপির রাজনীতি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড না থাকায় নেতারা একে অপরের চরিত্র হননেও পিছপা হচ্ছেন না।

বিএনপির একাধিক সংস্কারপন্থী নেতার সঙ্গে কথা বলেও দলের এমন চিত্রের কথা জানা গেছে।

স্থানীয় নির্বাচন ও বিএনপির বর্তমান অবস্থার বর্ণনা করে দলটির সংস্কারপন্থী নেতা জহিরউদ্দিন স্বপন বলেন, দলের হাইকমান্ড থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও গোপনে সারা দেশের অন্তত পঞ্চাশেরও অধিক তৃণমূল বিএনপি নেতা মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ ও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দলে দিন দিন বিদ্রোহী নেতাদের আনাগোনা বাড়ছে। রাজনৈতিক কার্যক্রম না থাকায়, সারা দেশের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা একে অপরকে ঘায়েল করতে সোচ্চার হয়েছে। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্টের পাশাপাশি কাদা ছোঁড়াছুড়ি বাড়ছে তৃণমূলে। গ্রুপ, সাব-গ্রুপ তৈরি হচ্ছে দলে। নিজেদের অন্তঃকলহের পাশাপাশি কর্মীদের কাছে বিতর্কিত হচ্ছে নেতৃবৃন্দ।

এ বিষয়ে বিএনপির সংস্কারপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমি গোপন সূত্রে জানতে পেরেছি যে, দিনাজপুর, রাজশাহী, নাটোর, লালমনিরহাট, নেত্রকোনার মতো জেলার একাধিক উপজেলায় বিএনপির প্রার্থীরা গোপনে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করছেন। দলের সিদ্ধান্তের চেয়ে তাদের কাছে ক্ষমতার চেয়ার বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুঃখের বিষয় হলো, বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা দলে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টায় বিদ্রোহী দমনের বিপরীতে তা লালন করছেন।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন বর্জনের বিপরীতে কয়েকজন সিনিয়র নেতা বিদ্রোহীদের উসকানিও দিচ্ছেন। বিষয়টি দলের জন্য ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য শুভকর নয়। তাদের বিরুদ্ধে দল অচিরেই ব্যবস্থা নেবে। তাদের তালিকাও প্রস্তুত করা হচ্ছে।