• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

তুহিন মালিকের সহায়তায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চান জোবায়দা রহমান!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০১৯  

 বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে নতুন করে তৎপর হয়েছেন তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমান। সেই লক্ষ্যে লন্ডন থেকে জামায়াত পন্থী আইনজীবী ব্যারিস্টার তুহিন মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন জোবায়দা রহমান। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে কেউ এগিয়ে না এলেও শেষ পর্যন্ত জোবায়দা রহমানের পুরনো বন্ধু আইনজীবী ড. তুহিন মালিক এগিয়ে এসেছেন। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের বরাতে তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সূত্র বলছে, ড. তুহিন মালিক হচ্ছেন তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমানের স্কুল পড়ুয়া বন্ধু। তারা একই সঙ্গে একই স্কুলে পড়তেন। স্কুলে পড়া অবস্থায় তাদের মধ্যে এক প্রকারের আত্মার সম্পর্ক তৈরি হয়। যদিও তারেক রহমানের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর তুহিন মালিক জোবায়দা রহমানের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন। এছাড়া জামায়াতের সঙ্গে তুহিন মালিকের সুসম্পর্ক তৈরি হওয়ায় জোবায়দা রহমানও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বের করা নিয়ে পুনরায় জোবায়দা-তুহিনের পুরনো দিনে ফিরে যাবার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলেও জানা গেছে।

এ বিষয়ে স্বয়ং ড. তুহিন মালিক বলেন, জোবায়দা রহমান আমার স্কুল পড়ুয়া বন্ধু ছিলো, তা শতভাগ সত্যি। কিন্তু এখন এগুলো গুরুত্বহীন ব্যাপার। হ্যাঁ এটি সত্য যে, জোবায়দা বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে আইনি লড়াইয়ে আমার সহায়তা চেয়েছেন। আমি বিষয়টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে সময় চেয়েছি। দেখুন আমরা ছোট বেলার বন্ধু। বর্তমানে তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক সম্পূর্ণ প্রফেশনাল। একজন আইনজীবী হিসেবে আমি তাকে এবং তার শাশুড়িকে সহায়তা করবো। এর বেশি কিছু বলতে চাই না।

এদিকে বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার একবছর একমাস পর ডা. জোবায়দার তৎপরতা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। জোবায়দা পেশায় একজন চিকিৎসক হয়ে আইনজীবীর সঙ্গে কি করে এতো ভালো সম্পর্ক রয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তবে স্কুল জীবনের বন্ধু হওয়ায় ঘটনাটি পরে জানাজানি হবার পর, সে বিষয়ে আর কোনো প্রশ্ন উঠেনি।

এদিকে বিএনপির রাজনীতিতে গুঞ্জন উঠেছে যে, ডা. জোবায়দার পরামর্শেই বেগম জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে প্রথমে রাজি হননি। কারাগারে যেসব চিকিৎসকেরা বেগম জিয়াকে নিয়মিত দেখেন তাদের অন্তত একজনের সঙ্গে ডা. জোবায়দার কথা বলার নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে।

একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, ডা. জোবায়দা বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গত এক মাসে অন্তত ২০০ বার তুহিন মালিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। সূত্রমতে, জোবায়দা যখনই তুহিন মালিকের সঙ্গে কথা বলতে যান, তখনি অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছেন।

জোবায়দা ও তুহিন মালিকের এমন সম্পর্ক স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বেশি বলে দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, যদিও জোবায়দা তুহিন মালিকের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বের করা প্রসঙ্গে কথা বলছেন। তবে তাদের সম্পর্ক মাঝে মাঝে খানিকটা বিব্রতকর। বলতে দ্বিধা নেই, জোবায়দা রহমান তুহিন মালিককে যে পরিমাণ প্রাধান্য দিচ্ছেন, তত বড় আইনজীবী কিন্তু তুহিন মালিক নন। এর চেয়ে বড় বড় আইনজীবী কিছুই করতে পারলো না। সেখানে তুহিন মালিক কিছু করতে পারবে বলে মনে হয় না। অযথা জোবায়দা ও তুহিন মালিকের সম্পর্ক নিয়ে দলের মধ্যে কানাঘুষা চলছে তার জন্য আমাদের মতো সিনিয়র নেতাদের বিব্রত হতে হচ্ছে। যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।