• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে মৃৎ-শিল্পীদের ব্যস্ততা বেড়েছে

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২০  

বাঙালি সংস্কৃতিতে মাটির তৈজসপত্রের আবেদন বহু প্রাচীন। করোনায় মৃৎ-শিল্পীরা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চলছে। শারদীয় দুর্গোৎসব সামনে রেখে সাভার, ধামরাই ও আশুলিয়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে মৃৎ-শিল্পীদের। ক্ষতি পোষাতে নানা রকম তৈজসপত্র তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। দুর্গোৎসবে ভালো বেচাবিক্রির আশা মৃৎ-শিল্পীদের। 

আঙুলের নিখুঁত কৌশলে নরম মাটি হয়ে ওঠে সুন্দর পাত্র। তার ওপর চলে নানা আঁকিবুঁকি আর নকশা। রঙ করে তা বিক্রি করা হয় উৎসব, পার্বন-মেলায়।

সামনে শারদীয় দুর্গোৎসব। সাভার, ধামরাই ও আশুলিয়ার মৃৎ-শিল্পীরা এখন ব্যস্ত। কারণ, দুর্গাপূজা, পহেলা বৈশাখ বা মেলা-উৎসব ছাড়া মাটির তৈজসপত্র, খেলনা শোপিস খুব একটা বেশি বিক্রি হয় না।

মৃৎ-শিল্পীরা জানান, করোনার কারণে এই শিল্পটি স্থবির হয়ে পড়েছে। তবে পূজার কারণে কিছু কাজ আসছে। কিন্তু সামনের দিনগুলোতে ভালোভাবে চলার অনিশ্চয়তায় রয়েছেন তারা।

কালের বিবর্তনে মাটির তৈজসপত্রের আবেদন আগের মতো নেই। কুমাররা জানান, পূর্ব প্রজন্মের কর্ম হিসেবে শুধু মৃৎ-শিল্পকে ভালোবেসে এই পেশাকে ধরে রেখেছেন তারা। শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি প্রণোদনার দাবি তাদের।

মৃৎ-শিল্পীরা জানান, ছয় মাস ধরে কোন বিক্রি নেই। অনেক কষ্টে আছেন তারা। কত কষ্টে আছেন তা কেউই জানেন না। তাদের অভিযোগ- করোনা কালে তারা কোন প্রকার সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

সাভার ও ধামরাইয়ের পালপাড়ায় শতাধিক পরিবার মৃৎশিল্পের সাথে জড়িত।