দেশসেরা ৫০ পর্যটন স্পট
মানিকগঞ্জ বার্তা
প্রকাশিত: ৫ জানুয়ারি ২০১৯
অপরূপ সৌন্দর্যের এই দেশের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই রয়েছে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক ঘুরে বেড়ানোর জন্য প্রতিবছর ভিড় জমিয়ে থাকেন। প্রাচীন স্থাপনা, পাহাড়ে-আহারে, নদীতে নৌকা ভ্রমণ, সবুজের মাঝে জ্যোৎস্নার খেলা, এমনকি মেঘের রাজ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলার মতো চোখ জুড়ানো পর্যটন স্থান রয়েছে। এবার থাকছে দেশের সেরা ৫০টি পর্যটন স্থান।
১. কক্সবাজার : বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বিশ্বসেরা সমুদ্রসৈকত। পাহাড়ঘেরা কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্রসৈকত। ভ্রমণপিপাসুদের জন্য কক্সবাজার আদর্শ জায়গা। এ ছাড়া এখানে অনেক প্রাচীন স্থাপনা রয়েছে।
২. সেন্টমার্টিন : সেন্টমার্টিন হলো বিশ্বের অন্যতম বড় প্রবাল দ্বীপ। অপূর্ব সুন্দর জায়গা সেন্টমার্টিন। সেন্টমার্টিন দ্বীপ ডাবের জন্য বিখ্যাত। আপনি সেন্টমার্টিনে পাবেন সুমিষ্ট ডাবের পানি আর শাঁস। এখানে মাছধরাসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীকে উত্তেজিত করতে পারেন।
৩. রাঙামাটি : প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা রাঙামাটি। কাপ্তাই লেকের বুকে ভেসে থাকা ছোট্ট এর জেলা শহর আর আশপাশে সর্বত্রই রয়েছে অসংখ্য বৈচিত্র্যময় স্থান। এখানকার জায়গাগুলো বছরের বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন রূপে সাজে। তবে বর্ষার সাজ একেবারেই অন্যরূপ।
৪. খাগড়াছড়ি : সৃষ্টিকর্তা অপার সৌন্দর্যে সাজিয়েছেন খাগড়াছড়িকে। এখানে রয়েছে আকাশ-পাহাড়ের মিতালি, চেঙ্গি ও মাইনি উপত্যকার বিস্তীর্ণ সমতল ভূভাগ ও উপজাতীয় সংস্কৃতির বৈচিত্র্যতা। যেদিকেই চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। ভ্রমণবিলাসীদের জন্য আদর্শ স্থান।
৫. সিলেট : বাংলাদেশের যে কয়েকটি অঞ্চলে চা-বাগান পরিলক্ষিত হয় তার মধ্যে সিলেট অন্যতম। সিলেটের চায়ের রং, স্বাদ এবং সুবাস অতুলনীয়। রূপকন্যা হিসেবে সারা দেশে এক নামে পরিচিত সিলেটের জাফলং।
৬. বিছানাকান্দি : সিলেটের পর্যটন স্বর্গ। দেশের সীমান্তঘেরা পাথরের বিছানা ও মেঘালয় পাহাড় থেকে আসা ঠাণ্ডা পানি। পাশেই পাহাড়ি সবুজের সমারোহ। ছোট বড় পাথরের ওপর দিয়ে ছুটে আসা স্বচ্ছ পানির স্রোতধারা বিছানাকান্দিতে সৃষ্টি করেছে এক মনোরম পরিবেশ।
৭. সাজেক : রাঙামাটিতে এর অবস্থান হলেও যেতে হয় খাগড়াছড়ি হয়ে। খাগড়াছড়ি শহর থেকে দীঘিনালা, তারপর বাঘাইহাট হয়ে সাজেক। পুরো রাস্তাটাই অপূর্ব, আশপাশের দৃশ্যও মনোরম। পথের দুই পাশে লাল-সবুজ রঙের বাড়ি ও পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে জমে মেঘের মেলা।
৮. ভাওয়াল ন্যাশনাল পার্ক : ঢাকা জেলার সবচেয়ে কাছের দর্শনীয় স্থান এই ভাওয়াল ন্যাশনাল পার্ক। শাল। জীববৈচিত্র্যে ভরা এই পার্ক। প্রায় ২২০ প্রজাতির গাছ, ১৩ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৯ প্রজাতির সরীসৃপ, ৫ প্রজাতির পাখি ও ৫ প্রজাতির উভচর প্রাণীও রয়েছে এখানে।
৯. রঙরাং : রঙরাং পাহাড়ের চূড়ায় না উঠলে রাঙামাটির সৌন্দর্য অপূর্ণ থেকে যাবে। পাহাড়ের কোলঘেঁষে বয়ে গেছে মোহনীয় কর্ণফুলী। কর্ণফুলীর পাশে বরকল ও জুরাছড়ি উপজেলায় এর অবস্থান। চারপাশের এমন সব সৌন্দর্য চোখের সামনে চলে আসবে যদি রঙরাং চূড়ায় উঠতে পারেন!
১০. বান্দরবানের বোল্ডিং খিয়াং : বান্দরবানের মংপ্রু পাড়ায় ঝরনাটির অবস্থান। দুই বিশাল পাহাড়কে পাহারায় রেখে পাথুরে জলের ধারা বয়ে দিচ্ছে এই ঝরনা। পাহাড়ের চূড়ায় উঠতেই বদলে যাবে দৃশ্যপট। ঝরনাগুলো পুরো এলাকাকে ছড়িয়ে দিচ্ছে সাদাটে কুয়াশার চাদরে।
১১. চর কচ্ছপিয়া : ভোলা জেলার চরফ্যাশনের গোসাইবাড়ি ঘাটে খালটির অবস্থান। খালে নৌকাতে ছুটে চলা আর পাশেই সবুজের খেলা অপরূপ এক দৃশ্য। শীতকালে মেলে হরিণ ও বাহারি পাখির মেলা।
১২. তেঁতুলিয়া : হিমালয়ের কোলঘেঁষে বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের উপজেলা তেঁতুলিয়া। সমতল ভূমির চা-বাগান, তেঁতুলিয়া ডাক-বাংলো, তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্নার, বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্টসহ আরও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে।
১৩. ইদ্রাকপুর দুর্গ : মুন্সীগঞ্জ শহরের ইদ্রাকপুরে অবস্থিত ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্তি্বক নিদর্শন। মগ ও পর্তুগিজ জলদস্যুদের আক্রমণ থেকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জকে রক্ষার জন্য নির্মিত হয়েছিল এই দুর্গটি।
১৪. ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁও ছোট জেলা হলেও এটি প্রাচীন ঐতিহ্যসমৃদ্ধ একটি জনপদ। এ জেলার নেকমরদ, রাণীশংকৈল স্থানে সুপ্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন বিদ্যমান।
১৫. লালবাগ কেল্লা : মোগল আমলের স্থাপত্যকীর্তি লালবাগের কেল্লা। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষার্ধে তৈরি এই কেল্লাতে রয়েছে পরীবিবির মাজার, দরবার গৃহ, হাম্মামখানা, মসজিদ, দুর্গ ইত্যাদি। বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ঘেঁষে লালবাগ কেল্লার অবস্থান।
১৬. নীলগিরি : নীলগিরি দেশের সর্বোচ্চ পর্যটন কেন্দ্র। বান্দরবানের থানচি উপজেলায় এর অবস্থান। মেঘের সঙ্গে মিতালি করে এখানে মেঘ ছোঁয়ার সুযোগ রয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে নীলগিরিতে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত অপরূপ।
১৭. নীলাচল ও শুভ্রনীলা : বান্দরবান জেলার প্রবেশমুখেই অবস্থিত। ১৭০০ ফুট উচ্চতার এই পর্যটনস্থানগুলোতে সবসময়ই মেঘের খেলা চলে। এ পাহাড়ের ওপর নির্মিত এ দুটি পর্যটনকেন্দ্র থেকে পার্শ্ববর্তী এলাকার দৃশ্য দেখতে খুবই মনোরম।
১৮. চলনবিল : বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিলের নাম চলনবিল। পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় এটি। বর্ষার সুন্দরী বলা চলে ৩ জেলাজুড়ে বিস্তৃত বিলকে। বর্ষায় কানায় কানায় পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে রূপের পসরা সাজিয়ে বসে।
১৯. শুভলং ঝরনা : রাঙামাটি জেলার সর্বাপেক্ষা আকর্ষণীয় জায়গাগুলোর মধ্যে শুভলং ঝরনা একটি। এই ঝরনা দেখতে সর্বক্ষণ পর্যটকের ভিড় লেগেই থাকে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসে ঝরনাটি পতিত হয়েছে কাপ্তাই লেকে। শুভলংয়ের কাছে যেতে বাধা নেই, ফলে ঝরনার রূপ মাধুর্য প্রাণভরে উপভোগ করা যায়।
২০. আহসান মঞ্জিল : বুড়িগঙ্গার পাড়ঘেঁষে কুমারটুলী এলাকায় প্রাচীন এই সাম্রাজ্যের অবস্থান। মঞ্জিলটি রংমহল ও অন্দরমহল দুটি ভাগে বিভক্ত। প্রাসাদটির উপরে অনেক সুদৃশ্য গম্বুজ রয়েছে। এ ছাড়া একটি জাদুঘরও রয়েছে এখানে।
২১. মহাস্থানগড় : ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন পুরাকীর্তিটি বগুড়ায় অবস্থিত। পুন্ড্রবর্ধনের রাজধানী ছিল বর্তমান বগুড়া মহাস্থানগড়। মৌর্য, গুপ্ত, পাল এবং সেন আমলেও বগুড়ার বিশেষ প্রশাসনিক গুরুত্ব ছিল। করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে এটির অবস্থিত।
২২. সোমপুর মহাবিহার : সোমপুর মহাবিহার পাহাড়পুর বিহারে অবস্থিত। এটি ভারতীয় উপমহাদেশে বৌদ্ধবিহার হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। এটা পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত গন্তব্য। কারণ এটি অনন্য স্থাপত্য। এই স্থান পরিদর্শন করেন বেশির ভাগ ভারতীয়।
২৩. বাংলার তাজমহল : বিভিন্ন কারণে সোনারগাঁ বিখ্যাত। কালের বিবর্তনে এখানে বিশ্বের প্রাচীন সপ্তাশ্চর্য আগ্রার তাজমহলের আদলে সোনারগাঁয়ের পেরাব গ্রামে নির্মাণ করা হয়। স্থাপত্যে এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বাংলার তাজমহল।
২৪. প্রাচীন সোনারগাঁ : ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জে এই মোগল সাম্রাজ্যটির অবস্থান। এখানে রয়েছে পাঁচ পীরের দরগা, প্রাচীন পানাম নগরী, নীলকুঠিসহ আরও অনেক প্রাচীন স্থাপনা।
২৫. লাউয়াছড়া বন : ঘন জঙ্গলের বুক চিরে চলে গেছে পাহাড়ি রাস্তা। দুই পাশে সারি সারি গাছ। তার মধ্য দিয়ে মধ্যদুপুর কিংবা সোনাঝরা সকাল অথবা বিকালের নরম আলো লাউয়াছড়াকে করেছে আরও মোহনীয়। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত এই বন।
২৬. রাজবন বিহার : রাঙামাটির জেলার বেশ কয়েকটি নিদর্শনের মধ্যে রাজবন বৌদ্ধবিহার একটি। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি পবিত্র স্থান। মন্দিরের দৃষ্টিনন্দন গঠনের জন্য সাধারণ পর্যটকের কাছেও এটি আকর্ষণীয় জায়গা।
২৭. চিম্বুক : দেশের তৃতীয় বৃহত্তম পর্বত। বান্দরবানের চিম্বুক সারা দেশেই পরিচিত নাম। চিম্বুক যাওয়ার রাস্তার দুই পাশের পাহাড়ি দৃশ্য ও সাঙ্গু নদীর দৃশ্য খুবই মনোরম। পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে দেখা যাবে মেঘের ভেলা।
২৮. স্বর্ণমন্দির : মহাসুখ মন্দির। সোনালি রঙের জন্য স্বর্ণমন্দির বিখ্যাত। বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা বান্দরবানের বালাঘাটা এলাকার নাতিউচ্চ পাহাড়ের চূড়ায় এর অবস্থান। প্রতি পূর্ণিমার রাতে অপরূপ আলোয় এখানে জ্বলে ওঠে হাজার মাটির প্রদীপ।
২৯. কান্তজিউ মন্দির : কান্তজিউ মন্দির বা কান্তজির মন্দির বা কান্তনগর মন্দির বাংলাদেশের দিনাজপুর শহর থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তরে এবং কাহারোল উপজেলা সদর থেকে সাত কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে সুন্দরপুর ইউনিয়নে, দিনাজপুর-তেঁতুলিয়া মহাসড়কের পশ্চিমে ঢেঁপা নদীর তীরে অবস্থিত একটি প্রাচীন মন্দির। এটি নবরত্ন মন্দির নামেও পরিচিত কারণ তিনতলাবিশিষ্ট এই মন্দিরের নয়টি চূড়া বা রত্ন ছিলো। কান্তজিউ মন্দির ১৮ শতকে নির্মিত একটি চমৎকার ধর্মীয় স্থাপনা। মন্দিরটি হিন্দু ধর্মের কান্ত বা কৃষ্ণের মন্দির হিসেবে পরিচিত যা লেীকিক রাধা-কৃষ্ণের ধর্মীয় প্রথা হিসেবে বাংলায় প্রচলিত।
৩০. ষাট গম্বুজ মসজিদ : ষাট গম্বুজ মসজিদ নামে পরিচিত ষাট গম্বুজ মসজিদ, এটি বৃহত্তম মসজিদটি সুলতানি আমলে নির্মিত হয়। মসজিদটি সাধারণত নামাজের জন্য ব্যবহার করা হয়।
৩১. মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর : এই জাদুঘর ১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ খোলা হয়। জাদুঘর প্রদর্শন ১০,০০০ অধিক হস্তনির্মিত এবং চিত্র প্রদর্শনীতে। এটি বর্তমানে পুনর্নির্মিত হচ্ছে। জাদুঘর কোনো দেশের জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা বলে মনে করা হয়। কারণ এটাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংরক্ষণ আছে।
৩২. ছেড়াদ্বীপ : সর্বত্র ছোট-বড় পাথর আর কিছু কেয়া গাছ। আর এর চারপাশজুড়ে শুধুই নীল পানির ঢেউ। সাগরের মাঝখানে ছোট্ট এক পাথুরে দ্বীপ। এটি সেন্টমার্টিন দ্বীপের বিচ্ছিন্ন অংশ ও বঙ্গোপসাগরের মাঝে জেগে থাকা বাংলাদেশের মানচিত্রের শেষ বিন্দু।
৩৩. হুসাইনি দালান : হুসাইনি দালান ঢাকায় মোগল শাসনের আমলে নির্মিত হয়েছিল। মহররমের সময় অনুষ্ঠিত সভা বা জড়ো হওয়ার জন্য বেশির ভাগ শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ এ স্থান পরিদর্শন করে।
৩৪. সাগরকন্যা কুয়াকাটা : অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। কুয়াকাটা দক্ষিণ এশিয়ায় একটি মাত্র সমুদ্রসৈকত যেখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত অবলোকন করা যায়। সমুদ্রের পেট চিরে সূর্যোদয় হওয়া এবং সমুদ্রের বক্ষে সূর্যকে হারিয়া যাওয়ার দৃশ্য অবলোকন করা নিঃসন্দেহে দারুণ ব্যাপার।
৩৫. পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত : পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত চট্টগ্রামে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত সৈকত। এটা প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য সেরা গন্তব্য। তারা নিজস্ব সফর স্মরণীয় করতে তাদের পরিবারের সঙ্গে এখানে ঘুরে বেড়ান। এটা পর্যটকদের জন্য জনপ্রিয় স্থান।
৩৬. খোলারাম দাতার বাড়ি : নবাবগঞ্জের বান্দুরায় এই বাড়িটি অবস্থিত। বিশাল বাড়ি তার নাম খোলারাম দাতার বাড়ি। বাড়িটি নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে। এই বাড়ি থেকে একটি সুড়ঙ্গপথ ছিল ইছামতির পাড়ে।
৩৭. বরিশালের দুর্গাসাগর : বরিশালের বাবুগঞ্জের দুর্গাসাগর পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটকদের জন্য মনোরম পরিবেশ ও অনেক প্রাচীন কীর্তি রয়েছে এখানে। এখানকার মাধবপাশায় রাজবাড়ির সম্মুখে ইতিহাসখ্যাত দুর্গাসাগর দীঘি অবস্থিত।
৩৮. সুন্দরবন : সারা বিশ্বের ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলগুলোর মধ্যে সুন্দরবন অন্যতম। বিশ্বের অনেক পর্যটক ঘুরতে আসেন সুন্দরবনে। অপরূপ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের জোয়ার-ভাটা বিচিত্র রূপের এ বনকে দেখতে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা প্রতিদিন ভিড় জমান।
৩৯. রাইংখ্যং পুকুর : রাঙামাটির পাহাড় চূড়ায় নান্দনিক সৌন্দর্যের প্রাকৃতিক হ্রদ। আদিবাসী অধ্যুষিত হ্রদটির আয়তন প্রায় ৩০ একর। হ্রদের পানি স্বচ্ছ হওয়ায় সূর্যালোক, আবহাওয়া ও মেঘের ওপর ভিত্তি করে পানি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপ ধারণ করে।
৪০. সুপ্রাচীন খেরুয়া মসজিদ : বগুড়া শহরের প্রবেশপথে শেরপুর উপজেলায় প্রাচীন মসজিদটি অবস্থিত। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট আয়তাকার পরিকল্পনায় নির্মিত এই মসজিদ। ৯৮৯ হিজরি/১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে জনৈক মির্জা মুরাদ খান কাকশাল মসজিদটি নির্মাণ করেন।
৪১. সোনাদিয়া দ্বীপ : কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে খুব বেশি দূরে নয় সোনাদিয়া দ্বীপ। ম্যানগ্রোভ ও উপকূলীয় বনের সমন্বয়ে গঠিত এই দ্বীপটি। সাগরের গাঢ় নীল জল, লাল কাঁকড়া, কেয়া বন, সামুদ্রিক পাখি সব মিলিয়ে এক ধরনের রোমাঞ্চিত পরিবেশ।
৪২. বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক : গাজীপুরে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কটি দেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান। এখানে অবমুক্ত ও বেষ্টনীতে আবদ্ধ রয়েছে অনেক পশু-পাখি।
৪৩. তাজহাট জমিদার বাড়ি : শত বছরের অমলিন কীর্তি এই জমিদার বাড়িটি। রংপুরের হাজহাটে এর অবস্থান। রাস্তার দুই পাশে আকাশসম উচ্চতার নারিকেল গাছ। বাড়িটির সামনে ও পাশে দুটি পুকুর। অনেক দর্শনার্থী এখানে বেড়াতে আসেন।
৪৪. বিরিশিরি : বিরিশিরি বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার ঐতিহ্যবাহী একটি গ্রাম। এটি এক অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। বিরিশিরির মূল আকর্ষণ বিজয়পুর চীনামাটির খনি। সাদা মাটি পানির রংকে আরও বৈচিত্র্যময় করে তোলে।
৪৫. মনপুরা : বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ ভোলা জেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। রুপালি দ্বীপ মনপুরা। মনপুরা উপজেলা দেশের মানুষের কাছে যেমন আকর্ষণীয় ও দর্শনীয় জায়গা তেমনি বিদেশিদের কাছেও।
৪৬. চরগঙ্গামতি : কুয়াকাটার মূল ভূখণ্ডের পূর্বদিকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পর্যটক আকর্ষণের আরেকটি লোভনীয় স্থান চরগঙ্গামতি। এখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
৪৭. কুমিল্লা : কুমিল্লার শালবন বৌদ্ধবিহার বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম। কুমিল্লা জেলায় লালমাই-ময়নামতি প্রত্নস্থলের অসংখ্য প্রাচীন স্থাপনা, বার্ডসসহ আরও অনেক দৃষ্টিনন্দন পর্যটন স্থান রয়েছে।
৪৮. নিঝুমদ্বীপ : অপার সম্ভাবনার নিঝুমদ্বীপ নোয়াখালী জেলার সর্বদক্ষিণের উপজেলা হাতিয়া। হাতিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে বঙ্গোপসাগরের কোলে জেগে উঠেছে চিরসবুজের দ্বীপ নিঝুমদ্বীপ। মাছ, গাছ, পাখ-পাখালি আর সোনার হরিণের সম্পদ ভাণ্ডার নিঝুমদ্বীপ।
৪৯. জাফলং : সিলেটের জৈন্তিয়া পাহাড়ের অপরূপ দৃশ্য, জাফলং-এর মনোমুঙ্কর সৌন্দর্য, ভোলাগঞ্জের সারি সারি পাথরের স্তূপ পর্যটকদের টেনে আনে বার বার। শীতের হিমেল আবহ ভ্রমণপিয়াসী আর পর্যটকদের মনে দোলা দেয়।
৫০. বাগেরহাট : প্রাচীন অনেক পুরাকীর্তি রয়েছে এখানে। প্রাচীন মসজিদের শহর হিসেবে পরিচিত বাগেরহাট। জিন্দাপীর মসজিদ, নয় গম্বুজ মসজিদ, বিবি বেগনী মসজিদ, সিংড়া মসজিদসহ অনেক প্রাচীন স্থাপনা রয়েছে।
- জিআই সনদ পেল ১৪ পণ্য
- এক রাতে ৫ সেচ মেশিন চুরি
- মোদি ও রাহুলকে ইসির নোটিশ:আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ
- ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা আজ
- নারীসহ দালাল চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
- সাভারের রেডিও কলোনি পর্যন্ত মেট্রোরেল সংযোগ সম্প্রসারণের দাবি
- ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনার পরিকল্পনা’
- ইসরায়েলের সঙ্গে সীমান্তে উত্তেজনা
- কমান্ডার আরাফাত র্যাবের নতুন মুখপাত্র
- আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮৮ বিজিপি-সেনাকে হস্তান্তর
- ৩ দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
- হিট স্ট্রোকে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
- কারাগারে অসুস্থ হয়ে হাজতির মৃত্যু
- স্ত্রীকে কু*পি*য়ে জ*খ*ম করল পাষণ্ড স্বামী
- গরমেও চলছে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা!
- দায়ীদের বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ
- দুই দিনে দুই মাদরাসাছাত্র নিখোঁজ
- খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত
- বুবলির নায়ক সিয়াম
- প্রাবোওকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করল ইন্দোনেশিয়া
- একই গাড়ির চাপায় চালক ও সহকারীর মৃত্যু
- কারাভোগ শেষে ১৭৩ বাংলাদেশি কক্সবাজারে
- প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকক পৌঁছেছেন
- নিহত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা
- তৈফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
- এখনো শেষ হয়নি তিন মামলার বিচার
- দেশে ফিরবেন সেই ২৩ নাবিক
- ইসরায়েলের ‘কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না’
- জিবুতিতে ফের অভিবাসীদের নৌকাডুবি
- যাত্রা শুরু হলো মারামারি দিয়ে
- আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮৮ বিজিপি-সেনাকে হস্তান্তর
- প্রাবোওকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করল ইন্দোনেশিয়া
- একই গাড়ির চাপায় চালক ও সহকারীর মৃত্যু
- তৈফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
- স্ত্রীকে কু*পি*য়ে জ*খ*ম করল পাষণ্ড স্বামী
- বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে
- ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা আজ
- কারাভোগ শেষে ১৭৩ বাংলাদেশি কক্সবাজারে
- স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেফতার
- প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকক পৌঁছেছেন
- বুধবার গ্যাস থাকবে না ১২ ঘণ্টা
- দেশে ফিরবেন সেই ২৩ নাবিক
- দুই দিনে দুই মাদরাসাছাত্র নিখোঁজ
- এখনো শেষ হয়নি তিন মামলার বিচার
- দায়ীদের বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ
- ইসরায়েলের ‘কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না’
- খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত
- জিবুতিতে ফের অভিবাসীদের নৌকাডুবি
- গরমেও চলছে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা!
- যাত্রা শুরু হলো মারামারি দিয়ে