• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ভিড় বাড়ছে শিমুলিয়া-পাটুরিয়ায়, ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২১  

ঈদ শেষে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষজন ফিরতে শুরু করেছে রাজধানী ঢাকায়। সোমবার (১৭ মে) সকাল থেকে শিমুলিয়া আর পাটুরিয়া ঘাটে রাজধানীমুখী ঈদফেরত যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।
আর ফিরতে গিয়ে পথে-ঘাটে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। বিশেষ করে দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকামুখো মানুষের ভোগান্তির মাত্রা বেশি। আর পাটুরিয়া ঘাটে এসে তারাই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন যানবাহনের জন্য।
পাটুরিয়া ঘাটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কর্মস্থলে ফেরার যুদ্ধ দেখা গেছে! দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে প্রতিটি ফেরিতে গাদাগাদি করে মানুষজন আসছেন পাটুরিয়া ঘাটে। স্বাস্থ্যবিধির কোনো তোয়াক্কা করছে না মানুষজন। ঘাটে এসেই তারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন পরিবহনের জন্য। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও পাটুরিয়া থেকে গাবতলি পর্যন্ত সেলফি, নীলাচল, যাত্রীসেবা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ ছোট-বড় বিভিন্ন যানবাহন যোগে যাত্রীরা যাচ্ছেন যে যার গন্তব্যে। আর এই যাওয়ার পথে তাদের ভাড়া দিতে হচ্ছে ১০ গুণ বেশি।

যাত্রীদের অভিযোগ, ঢাকা ফিরতে গিয়ে পথে ঘাটে তাদের ভোগান্তির মাত্রা অনেক বেশি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে পাটুরিয়া ঘাট থেকে ঢাকায় যেতে জনপ্রতি ৫০০ থেকে হাজার টাকা গুণতে হচ্ছে। বাস চালক ও শ্রমিকরা ভাড়া নিয়ে এরকম নৈরাজ্য চালালেও দেখার কেউ নেই ।
এছাড়া বাসে এক সিটে একজন বসার নিয়ম থাকলেও সেটাও মানছেন না পরিবহন শ্রমিকরা। প্রতিটি বাসে গদাগাদি করেই যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যাক্তিগত গাড়ি হিসেবে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসকে বলা হলেও সেসব গাড়িও চলছে ভাড়ায়। প্রাইভেটকারে ৫ থেকে ৬ জন যাত্রী এবং মাইক্রোবোসে কমপক্ষে ১৫ জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। এসব গাড়িতে যারা যাতায়াত করছে তাদের ভাড়া গুণতে হচ্ছে অনেক বেশি।


বিআইডাব্লিউটিসি আরিচা অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, ঈদ ফেরত মানুষ ও যানবাহন পারাপারের ১৭টি ফেরি সচল রাখা হয়েছে। তবে পাটুরিয়া থেকে ফেরিগুলো কার্যত খালি যাচ্ছে দৌলতদিয়া ঘাটে। সেখান থেকে কয়েক মিনিট পর পর ফেরিগুলো যাত্রী ও যানবাহন ভরপুর করে পাটুরিয়া ঘাটে আসছে। প্রতিটি ফেরিতে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, জরুরি পণ্যবাহী পরিবহন ও অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ির সঙ্গে মানুষের চাপ অনেক বেশী থাকছে।

যাত্রী ও মানুষের চাপ থাকলেও ঘাটে কোনো ধরনের যানজট নেই বলে জানান ওই কর্মকর্তা। মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সোমবার সকালে বাংলাবাজার থেকে ছেড়ে আসা ফেরিগুলোতে যানবাহনের চাইতে যাত্রীদের উপস্থিত ছিলো বেশি। তবে সকাল থেকে এই নৌরুটে ১৭ টি ফেরি চলাচল করছে বিরামহীন ভাবে।

বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের উপ মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শফিকুল ইসলাম জানান, অন্যান্য নৌযান বন্ধ থাকায় বাংলাবাজার ঘাট থেকে কর্মস্থলে ফেরত যাত্রীদের ভিড় লক্ষ করা গেছে ফেরিগুলোতে। এদিকে কিছু মানুষ যারা ঈদের আগে বাড়িতে যেতে পারেনি, তারাও আজ বাড়িতে যাচ্ছে।


শিমুলিয়া ফেরি ঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) হিলাল উদ্দিন বলেন, ‘পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় কোনো যানবাহন কিংবা যাত্রীদের শিমুলিয়া প্রান্তে এসে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না। তার বিভিন্নভাবে সিএনজি, অটোরিক্সা কিংবা মোটরসাইকেলযোগে ভেঙে ভেঙে এলেও নির্বিঘ্নে ফেরি পার হয়ে বাংলাবাজার যেতে পারছে। পাশাপাশি বাংলাবাজার থেকে যারা আসছে তার ছোট ছোট যানবাহন রাজধানীর চলে যেতে পারছে।’