• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মানিকগঞ্জে সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে, ঝাঁজ বেড়েছে মরিচের

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২০  

সূর্য উঠার আগ থেকে কৃষক ও পাইকারদের সরগরমে জমে উঠে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে মানিকগঞ্জের বাডবাউর বৃহৎ সবজির আড়ত। কয়েক দিনের তুলনায় দাম বেড়েছে মরিচের, আর সব সবজির দাম কম থাকায় খুশি পাইকার ও সাধারণ ক্রেতারা। আড়তের নানা সমস্যার কথা জানিয়েছেন আড়তের সভাপতি।

সকালের আলো ফোটার আগেই বেচাকেনায় জমজমাট ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশের মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বাডবাউর বৃহৎ সবজির আড়ত। তরজাতা ও ফরমালিনমুক্ত জেলার কৃষকদের উৎপাদিত ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, শিম, ধনেপাতা, আগাম মুড়ি কাটা পেঁয়াজ, মুলা, লাউ, করলার সরবরাহ বেশি।

 কয়েক দফা বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বেশ কিছুদিন আগে ভালো দাম থাকলেও এখন দাম না পেয়ে লোকসানের কথা বলছেন তারা।

 অন্যদিকে দাম নিয়ন্ত্রণে আসায় খুশি পাইকার ও সাধারণ ক্রেতারা।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বাডবাউর সবজির আড়তটিতে অর্ধশতাধিক আড়তদার, জেলাসহ রাজধানীর তিন শতাধিক পাইকার ও কৃষকদের মাধ্যমে কোটি টাকার সবজি বেচাকেনা হয়।

 মঙ্গলবার  প্রতি কেজি ফুলকপি ১৬ থেকে ১৮ টাকা, বাঁধাকপি ১৮ থেকে ২০ টাকা, বেগুন ১৬ থেকে ১৮ টাকা, শিম ১৭ থেকে ১৮ টাকা, ধনেপাতা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, আগাম মুড়ি কাটা পেঁয়াজ পাতাসহ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, মুলা ৫ থেকে ৬ টাকা, লাউ প্রতিটি ১২ থেকে ১৫ টাকা, করলা ১৬ থেকে ২০ টাকা, আদা ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, রসুন ৯২ থেকে ৯৪ টাকা, পেঁয়াজ দেশি ৫০ থেকে ৫২ টাকা, মরিচ দেশি ৮৫ টাকা, আলু ৪০ টাকা।

কবির নামের এক কৃষক জানায়, কয়েক দফায় বন্যায় ও অতিবৃষ্টির কারণে দুবার তার কফিক্ষেত নষ্ট হয়েছে। তৃতীয়বার তার জমিতে ভালো কফি হয়েছে। আর গত তিন দিন ধরে আড়তে আনতে শুরু করেছেন।

 মঙ্গলবার বিক্রয় করেছেন ১৬ টাকা কেজি দরে। যাতে তার লোকসান হচ্ছে।
নিতাই নামের অপর এক কৃষক জানান, শিম চাষ করেছেন তিনি। এতে কয়েক দিন ভালো দাম পেলেও এখন দাম বেশি। ১৭ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করেছেন। যা তার চাষাবাদ ও ভাড়া দিয়ে আড়তে আনে খবর তুলতে কষ্ট হচ্ছে বলে জানান।


মানিকগঞ্জের পাইকার আরিফ জানান, এ আড়ত থেকে তরতাজা সবজি কিনে ঢাকা শ্যামবাজার ও কাওরান বাজারে বিক্রি করে বেশ লাভবান হন তিনি।
 
সিদ্দিক নামের ঢাকার পাইকার জানান, এখানকার সবজি ফরমালিনমুক্ত ও তরতাজা, ঢাকার বাজারে এর চাহিদা বেশি। তাই তিনি এখান থেকে নিয়মিত সবজি কেনেন, দাম কমে পান।
আড়তটিতে বৈদ্যুতিক বাতির সংকটসহ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পাইকার, আড়তদার ও কৃষকদের সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আড়ত কমিটি সভাপতি আব্দুল খালেক। তিনি জানান, আড়তটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে হওয়ায় যোগাযোগব্যবস্থা ভালো। কিন্তু আজ মরিচের দাম ছাড়া সব সবজির দাম নিম্নমুখী।